ফুলবাড়ি প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শাহবাজার পোদ্দারটারী গ্রামে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে জামাই খাইরুল ইসলাম তার শাশুড়িকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করেছে। আহত শাশুড়ির নাম মোমেনা বেওয়া (৫৭), যিনি চন্দ্রখানা বুদারবান্নি গ্রামের আব্দুল্লাহ মিয়ার স্ত্রী।
ঘটনার বিস্তারিত জানায়, মোমেনা বেওয়ার মেয়ে শাহীদা খাতুনের সাথে খাইরুল ইসলামের ১৫ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য শাহীদাকে নিয়মিত নির্যাতন করতেন খাইরুল। একপর্যায়ে শাহীদাকে গার্মেন্টসে চাকরি করতে যেতে হয়। কয়েকদিন আগে শাহীদা তার মায়ের বাড়িতে আসেন এবং এই সুযোগে জামাই খাইরুল তার শাশুড়ির বাড়িতে গিয়ে ঘরের তালা ভেঙে কিছু মালামাল এবং পাঁচ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যান।
মোমেনা বেওয়া বাড়ি ফিরে তালা ভাঙা দেখে প্রতিবেশীদের কাছে খোঁজ নেন। প্রতিবেশীরা তাকে জানান, খাইরুল বাড়ির আশপাশে ঘোরাঘুরি করছিল। তখন মোমেনা বেওয়া তার মেয়ে শাহীদাকে নিয়ে খাইরুলের বাড়িতে যান এবং চুরি করা মালামাল ফেরত আনার জন্য আলোচনা করেন।
এ সময় খাইরুল ক্ষিপ্ত হয়ে মোমেনা বেওয়াকে মারধর শুরু করেন। প্রতিবাদ করার জন্য মোমেনা বেওয়া যখন বাধা দেন, তখন খাইরুল একটি লাঠি দিয়ে তার শাশুড়ির মাথায় আঘাত করেন। এতে মোমেনা বেওয়ার মাথা ফেটে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পাশাপাশি তার ডান হাত এবং কোমড়েও গুরুতর আঘাত লাগে।
শাহীদা খাতুন জানান, “বিয়ের পর থেকেই খাইরুল আমার ওপর অত্যাচার করতো। আজ আমার মায়ের ঘর থেকে টাকা এবং মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে। আমি যখন মায়ের সাথে এসব ফেরত আনার জন্য যাচ্ছিলাম, তখন আমার মাকে মারধর করে তার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। মায়ের মাথায় পাঁচটি সিলাই পড়েছে। আমি তার উপযুক্ত বিচার চাই।”
এদিকে, গুরুতর আহত মোমেনা বেওয়া জানান, “খাইরুল আমার মেয়ে শাহীদাকে এতদিন নির্যাতন করেছে। আজ সে আমার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। আমি এই অমানুষের উপযুক্ত বিচার চাই।”
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply