আব্দুল্লাহ আল আমিন, কুড়িগ্রাম সদর প্রতিনিধি:
শরৎ মানেই আকাশ ভরা সাদা মেঘ, হাওয়ায় ভেসে আসা শিউলির গন্ধ আর নদীর তীরে মাথা দোলানো কাশবন।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ধরলা নদীর তীরে যখন চোখ যায়, তখন মনে হয় প্রকৃতি যেন সাদা রেশমি শাড়ি পরে সেজেছে। পাটেশ্বরী বাজারের কাছেই জগমনের চরে শত শত বিঘা জমিতে শরতের সেই অনন্য রূপ হাতছানি দিয়ে ডাকে পথিককে।
তুলোর মতো সাদা কাশফুল বাতাসে দুলছে, দূর থেকে দেখলে মনে হয় নদীর তীরজুড়ে মেঘ নেমে এসেছে। নীরব দুপুরে কাশবনের ভেতর দিয়ে বাতাসের হাহাকার আর পাখিদের ডাক মিলেমিশে সৃষ্টি করছে এক অন্যরকম আবহ। প্রকৃতির এই সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন নানা বয়সের মানুষ।
কুড়িগ্রামে আছে ১৬টি নদ-নদী, আছে ৪ শতাধিক চরাঞ্চল। কিন্তু ধরলার বুকে ভেসে থাকা জগমনের চর যেন কাশফুলের কারণে হয়ে উঠেছে শরতের বিশেষ ঠিকানা। অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে আসছেন এখানে। ছবি তুলছেন, কেউবা নির্জন কাশবনে দাঁড়িয়ে হারিয়ে যাচ্ছেন প্রকৃতির মাঝে।
কাশফুল দেখতে আসা স্থানীয় দর্শনার্থী ইবরাহীম খলিল বলেন, এখানে দাঁড়িয়ে মনে হয় আমি অন্য এক জগতে চলে এসেছি। চারপাশে শুধু সাদা আর সবুজের খেলা। মন ভরে যায়, চোখ জুড়িয়ে যায়।আরেক দর্শনার্থী তিবাকা আক্তার জানান, কাশবনের সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আসতে খুব ভালো লাগে।
এছাড়া কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী একরামুল বলেন, এমন কাশফুলের সমারোহ আসলে পুরো কুড়িগ্রামকে শরতের রাজধানী বানিয়ে দিয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, শরৎকাল এলে কাশফুল ফুটে উঠলেও এর সৌন্দর্যকে ঘিরে পর্যটনের কোনো উদ্যোগ নেই। অথচ সঠিক পরিকল্পনা নিলে কুড়িগ্রামের চরাঞ্চল শরৎকালের পর্যটনের এক অনন্য কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে।
Leave a Reply