অনলাইন ডেস্ক:
সরকার ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে ১০টির বেশি সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য আগামী সপ্তাহে দরপত্র আহ্বানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর বাসসের।
বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম বলেন, সরকার দেশের ১০টি স্থানে প্রতিটি ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১০টি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী সপ্তাহে মোট ৫০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার এই ১০টি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি বলেন, দরপত্রের নথি ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে, সরকার উন্মুক্ত দরপত্র বিডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাতে আগ্রহী সংস্থাগুলো সঠিকভাবে দরপত্রে অংশ নিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, দরপত্র প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই এবং সর্বনিম্ন দরদাতা সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য পুরস্কার পাবেন।
বাসসের সঙ্গে আলাপকালে বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব (নবায়নযোগ্য জ্বালানি) আমজেদ হোসেন বলেন, সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দরপত্র চূড়ান্ত ও দরপত্র প্রকাশের জন্য মন্ত্রণালয় সবকিছু প্রস্তুত করে নথিপত্র বিপিডিবিতে পাঠিয়েছে।
বিগত সরকারের আমলে কুইক সাপ্লাই অব পাওয়ার অ্যান্ড এনার্জি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ (সংশোধনী ২০২১) এর অধীনে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল এবং অভিযোগ ছিল যে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ কোম্পানিগুলোকে বেশি দামে দেওয়া হয়েছিল।
ক্ষমতায় আসার পর অন্তর্বর্তী সরকার বিগত সরকারের হাতে নেওয়া ৪০টি প্রকল্প বাতিল করে।
এর আগে অন্তর্র্বর্তী সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জোর দিয়ে বলেছেন, এখন থেকে উন্মুক্ত টেন্ডার ছাড়া কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে না।
পরবর্তী সময়ে বিপিডিবি উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতির মাধ্যমে দেশের ১০টি স্থানে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বানের উদ্যোগ নেয়।
পাওয়ার সেল জানায়, পঞ্চগড়, ঈশ্বরদী, গোপালগঞ্জ, ভালুকা, কক্সবাজার, চকোরিয়া, পীরগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও নীলফামারীতে ১০টি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।
পাওয়ার সেল সূত্র জানায়, জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সহজে পাঠানোর জন্য গ্রিড সাব-স্টেশনের কাছে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করা হবে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলেন, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে সোলার প্যানেলের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমছে। এখন প্যানেলের খরচ প্রতি ওয়াট মাত্র ৯ সেন্ট। ১০ বছর আগে বিগত সরকারের সময় এটি ছিল ২৫ থেকে ৩০ সেন্ট।
প্যানেলের দাম কমার কারণে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ব্যয় অর্ধেক হয়ে যাবে জানিয়ে তারা বলেন, সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ এখন লাভজনক বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ একবার স্থাপন হয়ে গেলে এ ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য জ্বালানি কিনতে হবে না।
Leave a Reply