1. editor1@kurigramsongbad.com : কুড়িগ্রাম সংবাদ :
  2. sifat@kurigramsongbad.com : sifat :
  3. siteaccess@pixelsuggest.com : কুড়িগ্রাম সংবাদ :
সাম্প্রতিক :
পাকিস্তানে সিন্ধু নদের এক ফোঁটা পানিও যেতে দেবে না ভারত: বললেন ভারতীয় মন্ত্রী রৌমারীতে পরকীয়ার অভিযোগে পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার ছাত্র মজলিসের রাজশাহী বিভাগীয় জোনাল কর্মশালা অনুষ্ঠিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত ভর্তি কার্যক্রম শুরু ২৭ এপ্রিল রাবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত; ৬ বিভাগের জন্য নিতে হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা লিবিয়ায় বন্দিজীবনের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা: কুড়িগ্রামের ইয়াকুবের বর্ণনা ইসরায়েলের বর্বরোচিত যুদ্ধের অবসান হোক বাংলাদেশে বড় আকারে লোডশেডিংয়ের আশঙ্কা: বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় চ্যালেঞ্জ বিদেশে বাংলাদেশিদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়,চক্রের মূলহোতা জাহিদ গ্রেফতার বেরোবিতে গুচ্ছ সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন: উপস্থিতি প্রায় ৯৬%

রাজারহাটে সুর্যোদয় ও সুর্যাস্ত দেখতে চায় মিলন

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৪
  • ২৬ বার পড়া হয়েছে

 

এনামুল হক সরকার , রাজারহাট(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে  দুচোখে পৃথিবী দেখতে চায় মিলন। দু,চোখের দৃষ্টি হারিয়ে অন্ধকারাচ্ছন মানবেতর জীবনযাপন করছে এক সন্তানের জনক মিলন মিয়া(২৩)

অভাবী সংসারে অর্থের অভাবে ডান চোখের চিকিৎসা না হওয়ায় ইনফেকশনে বাম চোখেরও দৃষ্টি হারিয়ে যায়।জানতে চাইলে প্রতিবেদককে মিলন মিয়া বলেন,২০১৬ সাল থেকে সূর্য্য উদয় ও সূর্য্যাস্তসহ পৃথিবীর কোন কিছুই দেখতে পাইনা।অন্ধ হয়ে দুনিয়াতে বসবাস করতেছি এখন। বাবা-মা কিংবা স্ত্রীর সহযোগিতায় চলাফেরা করতে হচ্ছে আমার।দুনিয়াটা আর দেখতে পাব কিনা।আমার চিকিৎসার জন্য কেউ যদি সহযোগিতা করত!।আমার আড়াই বছর বয়সের ছেলে কিবরিয়া ও বাবা-মাকে দুচোখভরে দেখতে চাই। কিভাবে তোমার দৃষ্টি হারিয়ে গেছে জানতে চাইলে?

মিলন জানান, আমি চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র থাকাকালীন সময়ে সহ পাঠিদের সঙ্গে ফুটবল খেলতে গিয়ে খেলার মাঠে ডান চোখে বাশেঁর কন্চি ডুকে যায়।তখন আমি শুধু বাম চোখে দেখতে পাই।ডান চোখে ইনফেকশন হলে রংপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে বাবা। অর্থের অভাবে সঠিক সময়ে সুচিকিৎসা না হওয়ায় বাম চোখেও এখন দেখতে পাই না।

আমি এখন পুরোপুরি অন্ধ হয়েগেছি।অন্ধ হওয়ায় কাজ কর্ম করতে পারিনা।অন্ধ মানুষকে কেউ কাজে নিতেও চায়না,আমার শুধু প্রতিবন্ধী ভাতা আছে।আমরা অন্যের জায়গায় দুটি ঘরে বসবাস করছি।অন্যের জায়গায় থাকতেও কষ্ট হয়।চোখে দেখতে পারলে হয়ত পড়ালেখা কিংবা দিনমজুরের কাজ করে পরিবারের চাহিদা পুরন করতে পারতাম কিন্তু হতভাগা কপালে সেটাও নেই।আমি সুর্যোদয় ও সুর্যাস্ত দেখতে চাই।

মিলন মিয়া রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউপির খিতাব গ্রামের কুড়ারপাড় মিয়া পাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের পুত্র।মিলনের মা মমেনা বেগম বলেন, ছেলেটা অন্ধ,দুটি চোখেই দৃষ্টি হারিয়ে ফেলেছে।আমরা অন্যের জমিতে আশ্রিতা,আমাদের ২টা ঘর, তার মধ্যে একটি রান্নাঘর।

মিলনের বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি।টাকার অভাবে সময়মত চিকিৎসা করাইতে পারিনি।মিলনের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন।ছওয়াটার চিকিৎসার জন্য বাবা হিসেবে আমি সহযোগিতা চাই।

প্রতিবেশী ও গণমাধ্যমকর্মী আজিজুল হক বলেন,বেচারার কিছু একটা পেলে খুব উপকার হতো,ওর বাবা একজন রিকশা চালক যা আয় হয় তাই দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খায়, তাতে আবার বাজারের দ্রব্য মুল্যের উর্ধগতি।  সরকারি কিংবা বেসরকারি সুযোগ সুবিধা পেলে তাদের উপকার হতো। মিলনের দুটিচোখ অন্ধ,সংসারে তার বউ-বাচ্চা আছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরিতে আরো খবর


Kurigram Songbad © 2025. All Rights Reserved.
Built with care by Pixel Suggest
error: Content is protected !!