ধর্ম ডেস্ক:
হাদিস অনুযায়ী, আজান শুনে আগে দরুদ, এরপর দোয়া পড়ার কথা হাদিসে এসেছে। সহিহ মুসলিমের এক বর্ণনায় এসেছে, হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আছ (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘আজানের সময় মুয়াজজিন যা বলে উত্তরে তোমরা তা-ই বলো। অতঃপর আমার ওপর দরুদ পড়ো।
যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ পড়বে তার ওপর আল্লাহ তাআলা ১০টি রহমত অবতীর্ণ করেন। এরপর আল্লাহর কাছে আমার জন্য ‘ওসিলা’ লাভের দোয়া করো। কারণ ওসিলা হলো জান্নাতের এক সুউচ্চ মর্যাদা, যা শুধু একজনই পাবে। আমি আশা করি সে ব্যক্তি আমি হবো। যে ব্যক্তি আমার জন্য ওসিলা লাভের দোয়া করবে তার জন্য আমার সুপারিশ অবধারিত হয়ে যাবে।’ (সহিহ মুসলিম: ১/১৬৬)
আজান শুনে দরুদের পর যে দোয়া পড়বেন, সেটি হলো- ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺭَﺏَّ ﻫَﺬِﻩِ ﺍﻟﺪَّﻋْﻮَﺓِ ﺍﻟﺘَّﺎﻣَّﺔِ، ﻭَﺍﻟﺼَّﻼَﺓِ ﺍﻟْﻘَﺎﺋِﻤَﺔِ، ﺁﺕِ ﻣُﺤَﻤَّﺪﺍً ﺍﻟْﻮَﺳِﻴﻠَﺔَ ﻭَﺍﻟْﻔَﻀِﻴﻠَﺔَ، ﻭَﺍﺑْﻌَﺜْﻪُ ﻣَﻘَﺎﻣَﺎً ﻣَﺤﻤُﻮﺩﺍً ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻭَﻋَﺪْﺗَﻪُ উচ্চারণ: ‘আল্লা-হুম্মা রাব্বা হা-জিহিদ দা‘ওয়াতিত তা-ম্মাতি ওয়াস সালা-তিল ক্বা-য়িমাতি, আ-তি মুহাম্মাদান আল ওয়াসীলাতা ওয়াল ফাদীলাতা, ওয়াব‘আসহু মাকা-মাম মাহমূদানিল্লাযী ওয়াআদতাহ’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহ্বান এবং প্রতিষ্ঠিত সালাতের তুমিই প্রভু! মুহাম্মদ (স.)-কে অসিলা তথা জান্নাতের একটি স্তর এবং ফজিলত তথা সকল সৃষ্টির উপর অতিরিক্ত মর্যাদা দান করুন। আর তাঁকে মাকামে মাহমূদে (প্রশংসিত স্থানে) পৌঁছে দিন, যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাঁকে দিয়েছেন।’
জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রা.) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আজান শুনে এই দোয়াটি করে কেয়ামতের দিন সে আমার শাফায়াত লাভের অধিকারী হবে। (সহিহ বুখারি: ৬১৪; মেশকাত: ৬৫৯)
Leave a Reply