আমির ফয়সাল
ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :
ভূরুঙ্গামারীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের মিছিলে হামলা, মোবাইলফোন চুরি ও ভাঙচুরের অভিযোগে নিষিদ্ধ ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ ৫২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ২২০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ২৩ আক্টোবর ভূরুঙ্গামারী থানায় মামলাটি করেছেন হামলায় আহত ছাত্র রিয়াদের পিতা আব্দুল কুদ্দুস।
তিনি উত্তর তিলাই গ্রামের বাসিন্দা এবং জামায়াতে ইসলামীর একজন সক্রিয় সদস্য। মামলায় সদ্য নিষিদ্ধ ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, তার পিতা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুন্নবী চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান সিরাজ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রাকিনুল হক চৌধুরী ছোটনসহ উপজেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীদের নাম রয়েছে।
এছাড়া আওয়ামী লীগ সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান আসাদ, মাইনুল ইসলাম লিটনকেও আসামি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, জাতীয় পার্টি সমর্থিত সদর ইউপি চেয়ারম্যান যিনি দীর্ঘদিন থেকে দূরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত মাহমুদুর রহমান রোজেনকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বিবাদিরা গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে আসার সময় দু’দফা হামলা চালিয়ে বাদির ছেলে রিয়াদসহ কয়েকজন ছাত্রকে আহত করে এবং ৫টি মোবাইল ফোন চুরি ও মিছিলে ব্যবহৃত মাইক ভাঙচুর করে।
এব্যাপারে মামলার বাদি আব্দুল কুদ্দুসের সাথে কয়েকদফা যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেনি। জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা আমির আনোয়ার হোসেন জানান, ওনার ছেলে আহত হওয়ার কারণে অভিভাবক হিসেবে ওনি মামলা করেছেন।
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের আলোকে দলীয় ভুমিকা নির্ধারণ করা হবে। ওসির দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই আশরাফুল ইসলাম মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্য, ২৪ অক্টোবর এ মামলায় আওয়ামী লীগের ৪ নেতাকর্মীকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়।
Leave a Reply