1. editor1@kurigramsongbad.com : কুড়িগ্রাম সংবাদ :
  2. sifat@kurigramsongbad.com : sifat :
  3. siteaccess@pixelsuggest.com : কুড়িগ্রাম সংবাদ :
সাম্প্রতিক :
তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ “মার্চ ফর হিউম্যানিটি” শুরু করলেন হানিফ বাংলাদেশী গণশুনানিতে তিস্তা পারের মানুষ: আমরা দল-নেতা বুঝি না, প্রকল্পের বাস্তবায়ন চাই তিস্তা নদী নিয়ে গনশুনানী শেষে রিজওয়ানা হাসান : ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু হবে ডাকাতির সময় এগিয়ে না আসায় এএসআইসহ তিন পুলিশ অবরুদ্ধ, ‘ভুল বোঝাবুঝি’ বলছেন ওসি হামজাকে নিয়ে দল ঘোষণা বাংলাদেশের, আছেন সাকিব রৌমারীতে আওয়ামী লীগ নেতা মোগল গ্রেফতার কচুরিপানা: সমস্যা থেকে সম্পদ উলিপুরে রঙ্গিন ফুলকপিতে বাজিমাত কুড়িগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ পরিদর্শনে অতিরিক্ত সচিব মামুনুল আলম যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও আর কোন কোন দেশ জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব দেয়?

রয়েল এনফিল্ড মোটরসাইকেল যেভাবে বিশ্ব জয় করল

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক: 

দুই চাকার মোটরযানের প্রতি আমাদের সবারই দুর্বলতা কাজ করে। এসব যানের দ্রুতগতি, নজরকাড়া ডিজাইন, যেকোনো রাস্তায় চালানোর সুবিধা এবং চার চাকার গাড়ির থেকে কম দামের কারণে গরিব-ধনী সবার কাছেই চলাচলের প্রধান মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। আমরা সচরাচর যেসব ডিজাইনের মোটর সাইকেল দেখি তার থেকে ভিন্ন কোনো ডিজাইনের মোটরসাইকেল সামনে আসলে সহজেই তা নজর কাড়ে।

ব্রিটেনে জন্ম নেওয়া এমনই এক মোটর সাইকেল কোম্পানি রয়্যাল এনফিল্ড। যারা এমন কিছু মোটর সাইকেল তৈরি করে যা সব বয়সের মানুষের কাছেই আকর্ষণের বস্তু।

ইতিহাস

রয়েল এনফিল্ডের রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস।সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্র ইংল্যান্ডে জন্ম হলেও এই কোম্পানি শীর্ষে ওঠে ইংল্যান্ডের অন্যতম শোষণের কেন্দ্র ভারতে।

১৮৫১ সালে ইংল্যান্ডের রেড্ডিচ শহরে জর্জ টাউনসেন্ড নামের একজন ব্যবসায়ী সেলাই মেশিনের সূচ তৈরির কারখানা স্থাপন করেন এবং ধাতুর কাজের জন্য বেশ কয়েকটি মেশিন স্থাপন করেন। ১৮৮২ সালে টাউনসেন্ডের ছেলে এই কারখানার যন্ত্রপাতির সাহায্যে সাইকেলের স্যাডেল এবং ফর্ক তৈরি শুরু করেন। এই ব্যবসায় তিনি লাভের মুখ দেখতে পান। তার কাছে বাইসাইকেল তৈরি করার মতো যন্ত্রপাতি ছিল। তাই ১৮৮৬ সালে তিনি ‘টাউনসেন্ড অ্যান্ড একোসাইস’ নামে বাইসাইকেল তৈরি করে বিক্রি শুরু করেন। দুর্ভাগ্যবশত সেই সময়ে বাইসাইকেলের বাজারে তীব্র প্রতিযোগিতা ছিল এবং মার্কেটিং পরিকল্পনা ভালো না থাকায় ১৮৯১ সালে কোম্পানিটি ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

টাউনসেন্ডের পরামর্শদাতা ব্যাংকারদের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যালবার্ট এডি নামে বারমিংহামের একজন সেলস ম্যানেজার এবং রবার্ট ওয়াকার স্মিথ নামে একজন ইঞ্জিনিয়ারের হাতে কোম্পানি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। অ্যালবার্ট এডি ছিলেন একজন উচ্চাভিলাষী মানুষ। ১৮৯২ সালে তিনি এর নাম বদলে নতুন নাম দেন এডি ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড। এই কারখানায় অনেক সূক্ষ্ম যন্ত্রপাতি তৈরির মেশিন স্থাপন করা হয়। ১৮৯৬ সালে এডি মিডলসেক্সের এনফিল্ড শহরে অবস্থিত রয়্যাল স্মল আর্মস ফ্যাক্টরির জন্য যন্ত্রপাতি তৈরির কন্ট্রাক্ট পান এবং এখান থেকেই রয়েল এনফিল্ড নামের জন্ম হয়। এই বছরই তারা নিউ এনফিল্ড সাইকেল কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি কিনে নেয় এবং এখান থেকে ১৮৯৭ সালে সাইকেলের সব ধরনের যন্ত্রপাতি তৈরি শুরু করে।

ধীরে ধীরে যখন মোটরচালিত সাইকেল ইংল্যান্ডে জনপ্রিয় হয়ে উঠছিল তখন এনফিল্ড কোম্পানিও মোটর সাইকেল তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। দুই বছর চেষ্টার পর এনফিল্ড ১৯০১ সালে তাদের প্রথম ২৩৯ সিসি মোটর বাইক বাজারে আনে।

১৯০২ সালে তারা একটি মোটরগাড়ি বানায় এবং ১৯০৬ সালে অটোকার কোম্পানি স্থাপন করে। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল চার চাকার যানবাহনের মার্কেট দখল করা। তবে মাত্র ১৯ মাস পরেই লোকসানের কারণে বন্ধ হয়ে যায় তাদের মোটরগাড়ি তৈরির কারখানা।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ব্রিটিশ সরকার আবার রয়েল এনফিল্ডের সঙ্গে নতুন চুক্তি সাক্ষর করে। এবার এই কোম্পানি মিলিটারি গ্রেড মোটরসাইকেল উৎপাদন শুরু করে। এসময় তারা ২৫০ সিসি, ৩৫০ সিসি এবং ৫৭০ সিসি ইঞ্জিনের মোটরসাইকেল তৈরি করে। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল রয়েল এনফিল্ড WD/RE। এটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল প্লেন থেকে প্যারাসুটের মাধ্যমে নিচে ফেলার জন্য। যুদ্ধের সময় বোমারু বিমানের হাত থেকে বাঁচার জন্য ওয়েস্টউডে একটি ভূগর্ভস্থ কারখানা নির্মাণ করা হয়।

re3

যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ১৯৪৬-৫৪ সালে রয়েল এনফিল্ড কিছু যুগান্তকারী বাইক ডিজাইন করে। এসময় তাদের বিখ্যাত মডেল ‘বুলেট’ এর জন্ম হয়। বুলেট ৩৫০ সিসি এবং ৫০০ সিসি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে খুব অল্প সময়েই।

এরপর আসে রয়েল এনফিল্ড সুপার মিটিয়র এবং সুপার মিটিয়র কন্সটেলেশন যা ছিল ৭০০ সিসি ক্ষমতাসম্পন্ন।

রয়েল এনফিল্ডের জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ ছিল সেময়ের ব্রিটেনের বাইক লাইসেন্স আইন। এই আইন অনুযায়ী ১৬ বছর বা তার উর্ধ্বের যে কেউ ২৫০ সিসি বা তার নিচের বাইক চালাতে পারত শুধুমাত্র একটা লার্নার লাইসেন্স করে। এর জন্য কোনো পরীক্ষাও দেওয়া লাগত না। রয়েল এনফিল্ড এই কারণে কয়েকটি মডেলের ২৫০ সিসি বাইক তৈরি করে। এই বাইকগুলো ছিল ছোট এবং দামেও সুলভ। এছাড়া সেই সময়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অনেক উদ্বৃত্ত মোটরসাইকেল বিক্রি হত। কমবয়সী ব্রিটিশরা এসব বাইক কিনতে শুরু করে। সেই থেকে শুরু হয় ‘ক্যাফে রেসার’ যুগের। আমেরিকানরা যেমন তাদের মোটরকার মডিফাই করে দ্রুতগতির এবং স্টাইলিশ বানিয়েছিল, তেমন ব্রিটিশরাও তাদের মোটর সাইকেল মডিফাই করা শুরু করে।

এরপর তারা তাদের সমস্ত সম্পদ লাগিয়ে দেয় মোটর সাইকেলের ইঞ্জিন এবং ডিজাইন উন্নয়নে। ১৯১০ সালে তারা ২৯৭ সিসি ভি টুইন ইঞ্জিন তৈরি করে যা ১৯১১ সালে ৩৪৪ সিসি করা হয়। ১৯১২ সালে ৭৭০ সিসি ভি টুইন JAP এঞ্জিনের মডেল ১৮০ বের হয় যার সাথে একটি সাইড কারও ছিল। ১৯১৩ সালে তারা ৪২৫ সিসির মডেল ১৪০ বের করে। এগুলো বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

bullet-2

bullet

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরিতে আরো খবর

Kurigram Songbad © 2025. All Rights Reserved.
Built with care by Pixel Suggest
error: Content is protected !!