স্পোর্টস ডেস্ক:
নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের শিরোপা ধরে রাখার মিশনে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র দিয়ে শুরু করে টাইগ্রেসরা। ড্রয়ে সেমিফাইনালে খেলা কিছুটা কঠিন করে তুলে পিটার বাটলারের দল। আজ ভারতের বিপক্ষে খেলা, এ ম্যাচের জয়-পরাজয়ের ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের সেমির স্বপ্ন।
এমন ম্যাচে আক্রমণের ঢেউ তুলে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে দিশেহারা করে ৩-১ গোলের জয়ে গ্রুপের শীর্ষ হয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
এদিন ম্যাচের ৩ মিনিটে শামসুন্নাহার সিনিয়রের ক্রসে শামসুন্নাহার জুনিয়র ঠিকমতো প্লেসিং করতে পারেননি। বল চলে যায় অনেক দূর দিয়ে। দুই মিনিট পর দারুণ সুযোগ হারায় বাংলাদেশ। ঋতুপর্নার ক্রসে শামসুন্নাহার ফাঁকায় দৌড়ে গিয়ে অল্পের জন্য বলের নাগাল পাননি। তানাহলে পোস্টের কাছাকাছি থেকে প্লেসিং করতে পারলে গোল হতে পারতো। ৮ মিনিটে মারিয়া মান্দার দূরপাল্লার শট পোস্টের অনেক বাইরে দিয়ে যায়।
দুই মিনিট পর আফঈদার ব্যাকপাস রুপনা চাকমা ক্লিয়ার করতে গিয়ে সামনে থাকা মানিশার পায়ে লেগে অল্পের জন্য জাল ছুঁতে পারেনি। বল যায় পোস্টের বাইরে দিয়ে। ১৮ মিনিটে বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। সাবিনা খাতুনের কর্নারে গোলকিপার হাত উঁচিয়ে ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি। পেছনে বল পেয়ে ফাঁকায় ডিফেন্ডার আফঈদা খন্দকার দারুণ বুদ্ধিমত্তায় গোলকিপার ও ডিফেন্ডারদের ওপর দিয়ে দ্বিতীয় পোস্টে জাল কাঁপান।
২৬ মিনিটে বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য। ঋতুপর্না বাঁ দিক থেকে ক্ষিপ্রতায় একজনকে ডজ দিয়ে বক্সে ঢুকে জোরালো শট নিলেও তা ক্রসবারে লেগে ফিরে আসলে ব্যবধান বাড়েনি। তিন মিনিট পর আর হতাশ হতে হয়নি। বাংলাদেশ ব্যবধান বাড়ায়। আসালাঙ্কা দেবি ঠিকমতো বল ক্লিয়ার করতে পারেননি। ঋতুপর্না পেয়ে তা ভাসিয়ে দেন পোস্টের মুখে, সেখানে তহুরা শরীর দিয়েই বল ঠেলে দেন জালে। এক ডিফেন্ডার তহুরার গায়ে সেটে থাকলেও কিছুই করতে পারেননি। আনন্দে মাতে সবাই।
৩৫ মিনিটে বালা দেবির শট রুখে দিয়ে রুপনা চাকমা বাংলাদেশকে ঠিকভাবে ম্যাচে বাঁচিয়ে রাখেন। তিন মিনিট পর মানিশার ফ্রি কিক ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হলে ভারত গোল পায়নি। ৪৩ মিনিটে বাংলাদেশ আবার তৃতীয় গোল পায়। বক্সের ভেতর থেকে শামসুন্নাহার সিনিয়রের পাসে বাইরে থেকে তহুরার বুলেট গতির শট জালে আশ্রয় নেয়। গোলকিপার ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি।
বিরতির আগে ভারত এক গোল শোধ দেয়। সতীর্থের ক্রসে রুপনা ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি, একদম সামনে থেকে অধিনায়ক বালা দেবি হেড থেকে লক্ষ্যভেদ করেন।
Leave a Reply