নিজস্ব প্রতিনিধি:
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের পরিবারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের সরকারি খাদ্যগুদাম পাড়ায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাদ্দামের মা, দাদি ও তিন চাচাসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে সাতজন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত কয়েকজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সাদ্দামের পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় বিএনপি সমর্থিত লোকজনের ইন্ধনে মহির উদ্দিন ও তার দলবল জমি দখলের চেষ্টা করলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। তখন বিএনপির কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে সাদ্দামের মা মমেনা বেগম, দাদি জমিলা বেগম, এবং চাচা গফুর মিয়া, জোবেদ আলী ও জহুরুল হকসহ ছয়জন আহত হন। অপরদিকে, প্রতিপক্ষের মহির উদ্দিন (৭০) ও তার এক মেয়ে এই সংঘর্ষে আহত হন।
ঘটনার বিষয়ে সাদ্দামের বড় ভাই বাবলু বলেন, ‘আমরা বাড়ির পাশের একটি জমি কিনে বেশ কয়েক বছর ধরে ভোগদখল করে আসছি। মহির উদ্দিন একই জমির একটি অংশ দাবি করে আসছেন। আজ তারা আমাদের দখলে থাকা জমি ঘিরতে গেলে আমরা বাধা দিই। তখন বিএনপির সমর্থকরা বাইরে থেকে এনে আমাদের ওপর হামলা চালায়।’
এদিকে ছাত্রলীগ সেক্রেটারি সাদ্দাম হোসেন ফোনে বলেন, ‘আমাদের কেনা জমি আমরা দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছি। কিন্তু আজ স্থানীয় বিএনপির লোকজন নিয়ে এসে মহির উদ্দিন আমাদের পরিবারের ওপর হামলা চালায় এবং জমি দখল নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে আমার মা, দাদি ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ওপর হামলা হয়।’
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মহির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘আমার কেনা জমি, বৈধ কাগজপত্র আছে। দীর্ঘদিন ধরে তারা দখল করে রাখছে। আজ আমরা জমি ঘিরতে গেলে তারা হামলা চালায়। বিএনপির কোনও লোকজন সেখানে ছিল না, সব আমার পরিবারের সদস্য।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেলগাছা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহাবুর রহমান বলেন, ‘দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা শুনেছি। তবে আমাদের দলের কোনও লোক এই ঘটনায় জড়িত নয়। যদি কেউ জড়িত থাকে, তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল আলম বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও কোনও পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, সাদ্দামের পরিবারের আহত সদস্যদের মধ্যে চাচা জহুরুল হকের অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুরে নেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply