বিশেষ প্রতিনিধি:
বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রওশন জামিল অভিযোগটি আমলে নিয়ে ঘটনার তদন্তপূর্বক কোতোয়ালি মডেল থানার ওসিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান, কনস্টেবল কাউসার হাবিব, কনস্টেবল গোলজার, কনস্টেবল ছোহরাব আলী, এসআই ফারুক আহমেদ, এসআই পরিমল চন্দ্র দাস, এসআই আক্রাম হোসেন, এএসআই আব্দুল মজিদ, এএসআই জিন্নাত হাসান মানিক, এএসআই জাকির হোসেন, এএসআই জিল্লুর রহমান, কনস্টেবল সাইফুল, কনস্টেবল সেলিম, কনস্টেবল রাশেদুল, কনস্টেবল সানোয়ার এবং কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২২ মে ডিবি পুলিশের একটি দল পুরোহিতপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। রাজনের বাবা হারুন অর রশিদ দুই দিন ধরে ছেলেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলেও সফল হননি। পরবর্তীতে, ২৪ মে রাতে ওসি আশিকুর রহমান ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হলে, রাজনকে ক্রসফায়ারে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
হারুন অর রশিদ অভিযোগে আরও জানান, দশ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় ওসি আশিকুর রহমান ও অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা তার ছেলে রাজনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। তিনি এই হত্যার ন্যায়বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত ওসি আশিকুর রহমান পূর্বে কুড়িগ্রাম জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি নাগেশ্বরী থানার ওসি এবং সর্বশেষ রাজিবপুর থানার ওসি হিসেবেও কর্মরত ছিলেন।
Leave a Reply