আমিনুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রাম পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ড ভেলাকোপা মৌজার হানাগড়ের মাথা থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার সড়ক বন্যায় ভেঙে যায়। এতে করে ভেলাকোপা ওয়ার্ডের চারটি গ্রাম ও একটি ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা নিয়ে পড়েন চরম বিপাকে।
সাবেক মেয়রের কাছে অভিযোগ ও অনুরোধ করলেও সড়কটি মেরামতে কোনো ব্যবস্থা নেননি তারা। পরে গ্রামবাসী নিজের টাকা দিয়ে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে। সেটিও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় প্রতিদিন যাতায়াতকারী কেউ না কেউ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এমন দূরাবস্থা দেখেও পৌর কর্তৃপক্ষ নিরব থাকায় বাধ্য হয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক নির্মাণে এগিয়ে আসেন। গত তিন দিন ধরে সব বয়স ও শ্রেণির মানুষের পরিশ্রম ও অর্থ দিয়ে সড়কটি নির্মাণ করছেন তারা।
স্বেচ্ছাসেবক মো. নুর ইসলাম নুরু বলেন, ‘আমরা নাম মাত্র পৌর শহরে বসবাস করছি। সব প্রকার রাজস্ব কর দিয়ে এলেও আমরা ১ নম্বর পৌর সভার সব সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ কিংবা অ্যাম্বুল্যান্সের প্রয়োজন হলে শুধুমাত্র সড়কের কারণে পাই না। গত ৭ বছর ধরে এ অবস্থা চলছে। জনপ্রতিনিধিরা কথা দিয়ে কেউ কথা রাখে নাই। বাধ্য হয়ে আমরা গ্রামবাসী স্বেচ্ছা শ্রমে সড়কটি নির্মাণ কাজ করছি। আশা করছি আর দুএকদিনের মধ্যে কাজ শেষ হবে।’
স্থানীয় সাবেক কমিশনার জমসেদ আলী টুংকু মিয়া বলেন, ‘এ বিষয়ে বারবার কাগজ পত্র নিয়ে ঢাকা যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু কোনো সমাধান না পাওয়ায় গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে সড়কটি নির্মাণ করছে।’
Leave a Reply