রাজারহাট(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি:তারিখ:১৫-১০-২০২৪ইং। চাকিরপশার নদী সুরক্ষা কমিটির সদস্য হিসাবে আন্দোলনে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকায় হামলার শিকার হয়েছেন নজির হোসেন(৮৪) নামের একজন প্রবীণ আন্দোলনকারি।দখলদারের পরিকল্পিত হামলার এলোপাতাড়ি মারধরে ছিঁড়ে যায় গায়ের পাঞ্জাবি।
মঙ্গলবার সকালে মুঠোফোনে রাজারহাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হৈমন্তী রানীর ডাকে ইটুকুরির দোলায় আংড়াধোয়া ব্রীজে নজির হোসেন উপস্থিত হলেই চাকিরপশার নদীর তালিকাভুক্ত দখলদারের পক্ষ নিয়ে ইলিয়াস আলী মন্ডল,একরামুল আলী মন্ডল ও সুমি বেগমের যৌথভাবে মারধর করে।মারধরে আহত নজির হোসেন রাজারহাট সদর ইউনিয়নের ছাটমল্লিকবেগ গ্রামের বাসিন্দা।খবর পেয়ে রাজারহাট থানা পুলিশ,পুলিশ সুপার,জেলা প্রশাসক ও সহকারী বিভাগীয় কমিশনার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে চাকিরপশার নদী সুরক্ষা কমিটির নেতা খন্দকার আরিফ বলেন, তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এ কর্মকাণ্ডের,পাশাপাশি আইনের আওতায় এনে অপরাধীর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
আন্দোলনকারি ও উজানের হাজারো কৃষকের দাবি নদী বা বিল নামে কি আসে যায়, নদী ও বিল দুটোই সরকারি। তাই দখল উচ্ছেদ করে পানি প্রবাহ পথ পরিস্কার থাকলে বর্ষার অতিরিক্ত পানির জলাবদ্ধতা সংকট নিরসনের দাবি।
গতকাল সোমবার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উত্তম কুমার ও কুড়িগ্রাম পাউবোর সহকারী প্রকৌশলী মারজান হোসেনের মুঠোফোনে আমাদের ডাকে,আমরা সম্মতি জানিয়ে উপস্থিত হই।উপস্থিত হলেই আমাদের নদী সুরক্ষা কমিটির লোকজনের উপরে আক্রমণ ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ তুলেন।তিনি বলেন আমরা দীর্ঘদিন ধরে পানি প্রবাহের ব্যবস্থা জন্য আন্দোলন করতেছি।একাধিকবার মানববন্ধনসহ ডিসি অফিস বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করছি।কিছুদিন আগেই পানি প্রবাহ পথে দখলদারকে স্থাপনা সড়ানোর নোটিশ প্রদান করে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও কৃষি সেচ প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।ইতিমধ্যেই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সময় পেরিয়ে গেছে।
জানাগেছে,
নব্বই দশকে চাকিরপশার নদীতে সেতুবিহীন আড়াআড়ি সড়ক তৈরীতে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় উজানে কৃত্রিম জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে উজানে দেড় হাজার একর আবাদী জমিতে।#
Leave a Reply