1. editor1@kurigramsongbad.com : কুড়িগ্রাম সংবাদ :
  2. sifat@kurigramsongbad.com : sifat :
  3. siteaccess@pixelsuggest.com : কুড়িগ্রাম সংবাদ :
সাম্প্রতিক :
তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ “মার্চ ফর হিউম্যানিটি” শুরু করলেন হানিফ বাংলাদেশী গণশুনানিতে তিস্তা পারের মানুষ: আমরা দল-নেতা বুঝি না, প্রকল্পের বাস্তবায়ন চাই তিস্তা নদী নিয়ে গনশুনানী শেষে রিজওয়ানা হাসান : ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু হবে ডাকাতির সময় এগিয়ে না আসায় এএসআইসহ তিন পুলিশ অবরুদ্ধ, ‘ভুল বোঝাবুঝি’ বলছেন ওসি হামজাকে নিয়ে দল ঘোষণা বাংলাদেশের, আছেন সাকিব রৌমারীতে আওয়ামী লীগ নেতা মোগল গ্রেফতার কচুরিপানা: সমস্যা থেকে সম্পদ উলিপুরে রঙ্গিন ফুলকপিতে বাজিমাত কুড়িগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ পরিদর্শনে অতিরিক্ত সচিব মামুনুল আলম যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও আর কোন কোন দেশ জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব দেয়?

আজ ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: 

আজ ১১ রবিউস সানি, বড় পির আবদুল কাদের জিলানি (রহ.)-এর ওফাত দিবস বা ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম। মূলত, তার মৃত্যুর দিনটিকেই ‘ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম’ হিসেবে পালন করা হয়।

ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম মুসলিম ধর্মীয় সম্প্রদায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান, যা বিশেষভাবে সুফি প্রথার সঙ্গে সম্পর্কিত। ইসলামের অন্যতম সম্মানিত ব্যক্তি এবং মহান আধ্যাত্মিক নেতাদের একজন হজরত আবদুল কাদের জিলানি (রহ.)-এর পবিত্র আত্মার মাগফিরাতের জন্য এবং তার জীবনের শিক্ষা ও আধ্যাত্মিক নির্দেশনা স্মরণ করে এই দিনটি উদযাপিত হয়।

হজরত আবদুল কাদের জিলানি (রহ.)
হজরত আবদুল কাদের জিলানি (রহ.) ছিলেন একজন মহান ইসলামী পণ্ডিত, সুফিসাধক এবং আধ্যাত্মিক নেতা; যিনি ১১১৬ সালে বাগদাদে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব এবং বিশেষত সুফিবাদে তার অবদান ও আধ্যাত্মিক শিক্ষার জন্য বিখ্যাত। তাকে ‘গাউসুল আজম’ বা ‘সর্বোচ্চ সাহায্যকারী’ হিসেবেও ডাকা হয়। তার শিক্ষা অনুসারে, আল্লাহর প্রতি গভীর বিশ্বাস, বিনম্রতা এবং মানবতার সেবা ছিল জীবনের মূল লক্ষ্য।

ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম উদযাপন
ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম হিজরি বর্ষপঞ্জির ১১তম মাস রবিউস সানির ১১ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। ‘ফাতেহা’ শব্দটির অর্থ হলো মৃত ব্যক্তির আত্মার জন্য বিশেষ প্রার্থনা বা দোয়া করা, এবং ‘ইয়াজদাহম’ অর্থ ১১। সুতরাং, ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম হলো তার মৃত্যুবার্ষিকীর ১১তম দিন উপলক্ষে করা ফাতেহা বা দোয়া।
এই দিনে মুসলিম সম্প্রদায় বিশেষ করে সুফি তরিকায় বিশ্বাসীরা, কুরআন তেলাওয়াত করে, হজরত জিলানি (রহ.)-এর প্রতি সম্মান জানিয়ে বিভিন্ন দোয়া ও মোনাজাত করে। তার আধ্যাত্মিক শিক্ষা এবং জীবনের দৃষ্টান্তকে স্মরণ করে, অনেক মসজিদ এবং খানকাহে বিশেষ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এছাড়া দান-খয়রাত, গরিবদের মাঝে খাদ্য বিতরণ এবং মানবতার সেবা করার বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়।

ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহমের গুরুত্ব
ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম শুধুমাত্র একটি স্মরণীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের একটি সুযোগ হিসেবে দেখা হয়। হজরত আবদুল কাদের জিলানি (রহ.)-এর আধ্যাত্মিক শিক্ষা ও নীতি অনুসরণ করা, বিশেষ করে তার বিনম্রতা, আল্লাহর প্রতি গভীর আস্থা এবং মানবতার প্রতি তার ভালোবাসা, মুসলিমদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আছে।

ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম ইসলামী সংস্কৃতির একটি অংশ যা মুসলিমদের আধ্যাত্মিক জীবন ও ইসলামী ঐতিহ্যকে জীবিত রাখে। এটি শুধুমাত্র ধর্মীয় প্রার্থনা নয়, বরং একত্রিত হয়ে আল্লাহর পথে জীবন পরিচালনা করার একটি শিক্ষা। হজরত আবদুল কাদের জিলানি (রহ.)-এর শিক্ষা এবং তার জীবনধারার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে মুসলিম সম্প্রদায় তার স্মৃতিকে চিরস্মরণীয় করে রাখে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরিতে আরো খবর

Kurigram Songbad © 2025. All Rights Reserved.
Built with care by Pixel Suggest
error: Content is protected !!