রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) আলোচিত রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আলমগীর চৌধুরী দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী বরাবর দায়িত্ব হতে অব্যাহতি গ্রহণের আবেদন করেন তিনি।
আবেদনপত্রে তিনি লেখেন, রেজিস্ট্রার পদে আমার চুক্তিভিত্তিক চাকরির মেয়াদ আগামী ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ইং শেষ হয়ে যাবে। বর্তমানে আমার শারিরীক অসুস্থতার কারণে আমি আজ ১৪/১০/২০২৪ ইং তারিখ হতে রেজিস্ট্রার পদের দায়িত্ব হতে পদত্যাগ/অব্যাহতি গ্রহণ করলাম।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী বলেন, “উনি (প্রকৌশলী মো. আলমগীর চৌধুরী) ছুটি নিয়ে গিয়ে আর আসেননি। ১২ তারিখের অনুষ্ঠানে ওনার আসার কথা ছিল সেদিনও আসেননি। পরে আমি ওনাকে কল করাই। একজন রেজিস্ট্রার যদি এমন ঘটনা ঘটান, তবে পরবর্তীতে তাঁর কী হবে তা আমি তদন্ত কমিটির মাধ্যমে জানতে পারব।”
রেজিস্ট্রারের পদত্যাগপত্র গ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য আরও বলেন, “যেহেতু রেজিস্ট্রার ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না, তাই ওনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে আমি নতুন কাউকে দায়িত্ব দিব।”
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৪তম সিন্ডিকেট সভায় প্রকৌশলী মো. আলমগীর চৌধুরীকে রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় দফায় বিধিবহির্ভূতভাবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছিলেন প্রকৌশলী মুহাম্মদ আলমগীর।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী উপাচার্য হিসেবে যোগদানের পরই প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে অদক্ষতা, আবাসিক কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও বিধিবহির্ভূতভাবে ছুটি কাটানোসহ নানা অভিযোগের কারণে রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরীকে অপসারণের দাবি জানিয়েছিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি, প্রশাসনের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও তাঁর দ্রুত অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছিলেন।
Leave a Reply