কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে অবিরাম বর্ষনে সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে তিন গ্ৰামের সাত হাজার মানুষ। পাকা বাড়ির টিনের চালের পানি রাস্তায় পড়ে গড়িয়ে পুকুরে প্রায় এ ভাঙনের সূত্রপাত ।
উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের ফকিরপাড়া এলাকায় কুরুষাফেরুষা- পূর্বফুলমতি – গজেরকুটি সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এতে দুই মাস ধরে চরম বিপাকে পড়েছেন অটোরিকশা, ভ্যান ও ঠেলা পাড়ির চালকসহ শ্রমজীবী মানুষ। বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিন ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের পূর্ব পাশে সড়ক ঘেঁষে জনৈক লোকের পাকা বাড়ি এবং পশ্চিম পাশে পুকুর। স্থানীয়রা জানান,বাড়ির পানি গড়িয়ে পুকুরে পরায় মাটি ক্ষয়ে ভাঙন দেখা দেয় ।এতে সড়কের ১৮থেকে ২০ ফুট ভেঙে বড় গর্তে পরিণত হয়েছে।
বাধ্য হয়ে ওইসব গ্ৰামের মানুষ জরুরি প্রয়োজনে দেড় কিলোমিটার পথ ঘুরে বালারহাট বাজারসহ উপজেলা সদরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। সামান্য হাটা চলা গেলেও কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতে সম্পূর্ণ সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়। তারপরও সড়কটি মেরামতের কোন উদ্যোগ নেয়নি কেউ। অনেকেই ভাঙা সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। এখনো প্রতিনিয়ত ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।
তারা দ্রুত সড়কটি সংস্কারেএলাকাবাসী বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ভেঙে যাওয়া অংশটুকু মেরামত করার আবেদন করলেও কোন সাড়া মেলেনি। পথচারীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও কোনো যানবাহন চলছে না। অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে দুর্ঘটনার স্বীকার হন। সড়কটি পুকুর সংলগ্ন হওয়ায় বার বার টানা বৃষ্টি হলে ভেঙে যায়। সড়কটি দ্রুত মেরামত না করলে কোন সময় একটি পাকা বাড়ী সেই গর্তে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন।
কুরুষাফেরুষা গ্ৰামের আবুল হোসেন, আব্দুল মজিদ মানিক ও হায়দার আলী জানান,৬ মাস আগে যখন সড়কের কিছু অংশ ভেঙে যায়, তখন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে জানানো হয়েছে । তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি)চেয়ারম্যান হাছেন আলী জানান, এই মুহূর্তে কোনো বরাদ্দ নেই। বরাদ্দ পাওয়া গেলে সড়কটি মেরামতের আশ্বাস দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেহেনুমা তারান্নুমকে সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিছিন্ন হওয়ার বিষয়টি জানালে তিনি খোঁজ নিয়ে মেরামতের আশ্বাস দিয়েছেন ।
Leave a Reply