জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) খালেদা জিয়ার স্কেচ তৈরি করার সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা। প্রয়োজনে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।
আগামী ২০ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নামফলক ও ম্যুরাল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রশাসন। পরে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ডিজাইন পরিবর্তন করে নামফলক ও স্কেচ তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। তবে এতেও অসন্তোষ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে তাদের অবস্থান তুলে ধরেন।
নতুন ভিসি ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট ধারণ করবেন বলে আশা করেছিলেন বলে উল্লেখ করেন তারা। শিক্ষার্থীরা জানান, বর্তমান উপাচার্যের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে তারা আশাহত হয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা দেখতে পাচ্ছি, তিনি (ভিসি) আগের ফ্যাসিবাদের আমলের ভিসিদের পথেই হাঁটছেন। যে আন্দোলনের উদ্দেশ্য ছিল লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি দূরীকরণ, উপাচার্যসহ পুরো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেই লেজুড়বৃত্তির দিকেই হাঁটছেন।”
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা আরও বলেতি খালেদার জিয়ার অবদান আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। আমরা চাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অবশ্যই তার কোনো স্মৃতি থাকুক।”
শিক্ষার্থীরা জানান, তারা চান না আগের মতো ম্যুরাল নির্মাণ করে ব্যক্তিপূজার রীতি চালু হোক।
ম্যুরালের পরিবর্তে স্কেচ নির্মাণের সিদ্ধান্তে তারা বলেন, “আমরা শুধু নামফলক চাই, সেখানে কোনো ছবি, মূর্তি বা স্কেচ থাকবে না। প্রয়োজনে মূল ফটক সংস্কার করে সেখানে বড় করে নামফলক থাকতে পারে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ডিজাইন পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানিয়েছন। এখন ছোট একটি স্কেচ করা হবে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply