কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: ৬ অক্টোবর রবিবারের রাত্রির অন্ধকারে কুড়িগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা ঘটেছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কুড়িগ্রাম জেলা শাখার কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে একটি সাড়া ফেলে দিয়েছে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত একটি প্যাডের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে পরিষ্কারভাবে জানানো হয়েছে, “আজ দলের গৃহীত এক সিদ্ধান্তে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।” এর মাধ্যমে রাজনৈতিক দলের চলমান ধারাকে নতুন মাত্রা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। অতীতের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও ভুলগুলোর পুনরাবৃত্তি এড়িয়ে যেতে নতুন নেতৃত্বে নতুন উদ্দীপনা, নতুন পরিকল্পনা, নতুন আশা তৈরি করতে চান দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

সদস্যদের মধ্যে একদিকে উদ্বেগ, অন্যদিকে আশার আলো। জেলা বিএনপি’র নেতৃত্বে আসছে নতুন একটি কমিটি, যা দলের আদর্শকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করবে। কুড়িগ্রামের মানুষের আশা ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানোর জন্য যেসব পুরনো অভিজ্ঞ নেতা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন, তাদের জায়গায় নতুন মুখ উঠে আসবে, এটাই এখন সবাই মনে করছেন।

এ সময়ে কুড়িগ্রামবাসীর মনে জেগে উঠছে প্রশ্ন—নতুন নেতৃত্ব কি আদৌ তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে সক্ষম হবে? নাকি এ নতুন কমিটি শুধুই একটি প্রহসন? অতীতের রাজনৈতিক সংঘাত ও দ্বন্দ্বকে পেছনে ফেলে, সমৃদ্ধির পথে একত্রিত হওয়ার সময় এখনই। কুড়িগ্রামের রাজনৈতিক মাঠে আবারও আশা ও বিশ্বাসের পালে বাতাস ঢালার সময় এসেছে।

সারা দেশে যখন রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে, তখন কুড়িগ্রামে বিএনপি’র এই পদক্ষেপ একটি কৌশলগত পরিকল্পনা। এটি দলের সদস্যদের মধ্যে উৎসাহের সঞ্চার ঘটাবে, যা কেবল কুড়িগ্রাম নয়, দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও নতুন নেতৃত্বের প্রত্যাবর্তনের সংকেত বহন করবে।

কুড়িগ্রামের প্রতিটি রাজনৈতিক সভায় এবং কর্মসূচিতে নতুন চেহারা, নতুন সুর নিয়ে হাজির হবে নতুন নেতৃত্ব। জনসাধারণের মন জয় করার জন্য তারা যে সবকিছু করবেন, তাতে তারা একটিমাত্র লক্ষ্য রাখবেন—দেশ ও জাতির জন্য একটি সুস্থ, সুশৃঙ্খল, এবং উন্নত রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা।

নতুন কমিটি ঘোষণার মাধ্যমে দলের নেতৃবৃন্দ একটি সুনির্দিষ্ট বার্তা দিতে চাচ্ছেন। তা হলো—রাজনৈতিক জীবনে পরিবর্তন অপরিহার্য এবং এটি আগামীর পথচলায় অনুপ্রেরণা জোগাবে। দলের প্রতি আস্থা রাখতে এবং গণমানুষের মধ্যে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে এবার একটি নতুন পথরেখা নির্মাণের সম্ভাবনা উন্মোচিত হয়েছে।

এখন সকলের চোখ নতুন কমিটির দিকে, যারা জনতার আকাক্সক্ষা ও দুর্দশার প্রতিফলন ঘটাবে। কুড়িগ্রামের রাজনীতিতে আসছে পরিবর্তন, আসছে নতুন আলো—যা জনগণের মধ্যে নতুন আশা ও বিশ্বাসের জন্ম দেবে। নতুন নেতৃত্বের হাত ধরে বিএনপি কুড়িগ্রামে একটি নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা করবে, এটাই এখন সবার প্রত্যাশা।