স্পোর্টস ডেস্ক: দুনিয়াসেরা স্পিনারদের একজন রশিদ খান। তাকে নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমিদের আগ্রহের শেষ নেই। সম্ভবত আফগানিস্তানের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত ব্যাচেলরও হয়ে উঠেছিলেন ২৬ বছর বয়সী রশিদ। কারণ, সময়ের সেরা এই লেগ স্পিনার কবে বিয়ে করবেন, এ নিয়ে ভক্তদের মধ্যে আগ্রহের কমতি ছিল না। অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন রশিদ খান।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দেশটির রাজধানী কাবুলের ইম্পেরিয়াল কন্টিনেন্টাল হোটেলে রশিদ ও তার তিন ভাই আমির খলিল, জাকিউল্লাহ ও রাজা খান বিয়ের শুভ কাজটি সারেন। যদিও তার স্ত্রীর নাম ও পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
একসঙ্গে একই পোশাক পরিহিত অবস্থায় মঞ্চে দেখা গেছে রশিদ খান ও তার তিন ভাইকে। যেখানে বেশ হাসিখুশি ছিলেন তারা। রশিদ খানের সঙ্গে সেলফিও তুলতে দেখা গেছে তাদের। চার ভাইয়ের বিয়েতে হাজির হয়েছিল আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (এসিবি) চেয়ারম্যান মিরওয়াইজ আশরাফ, বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নসিব খানসহ আরও অনেকে।
রশিদের বিয়েতে হাজির হয়েছিলেন তার সতীর্থ মোহাম্মদ নবী, মুজিব উর রহমান, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, নজিবউল্লাহ জাদরান, রহমত শাহ, ফজল হক ফারুকিসহ আরও অনেকে। তাদের সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী লিখেছেন, তোমাদের বিয়েতে অনেক অনেক অভিনন্দন। তোমাদের জীবন ভালো ও সমৃদ্ধ হোক।
বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পশতুন রীতি অনুযায়ী বিয়ে করেছেন রশিদ ও তার তিন ভাই। তাদের বিয়ে উপলক্ষ্যে হোটেলের ভেতরে ও বাইরে ছিল কড়া নিরাপত্তা। একটি ভিডিওতে অস্ত্র হাতে নিরাপত্তাকর্মীদের পাহারা দিতে দেখা গেছে। গভীর রাত পর্যন্ত চলেছে বিয়ের অনুষ্ঠান। ছিল ব্যাপক খানাপিনার আয়োজন।
২০২০ সালে গুঞ্জন ওঠে, রশিদ খান নাকি বিশ্বকাপ না জেতা পর্যন্ত বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন না। তবে ২০২২ সালে বাংলাদেশ সফরে এসে রশিদ দাবি করেন, তিনি এ ধরনের কথা কোথাও বলেননি।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি এটা অনেকবারই শুনেছি– আমি নাকি বিশ্বকাপ জয়ের পর বিয়ে করব। জানি না, কোথায় এটা বলেছি! আমার কাছে এটার কোনো ভয়েস ক্লিপ নেই। তবে এটা সত্যি যে, এ নিয়ে সমর্থকদের পক্ষ থেকে অনেক মেসেজ পাই। আমি একবার মিডিয়ায় বলেছিলাম, আগামী দুই বছর বিয়ের কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, একটি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে আছে। তারপর বিয়ের ব্যাপারে ভাবব। মানুষ এটাকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছে।’
Leave a Reply