নুর উয জামান,নাগেশ্বরী প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে জাহিদুল ইসলাম (৩৫) নামের এক প্রতিবন্ধী যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। পিটিয়ে হত্যার দাবি পরিবারের। তিনি উপজেলার ভিতরবন্দ কোচপাড়ার বয়েজ উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন নিহতের পরিবার।
মামলা সুত্রে জানা যায়, প্রতিবন্ধী যুবক জাহিদুল গত ২ আগস্ট সকালে কাউকে কিছু না বলে বেরিয়ে যায়। অনেক খুজেও তাকে পাওয়া যায়নি। ৩ সেপ্টেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে তার খোজ পায় পরিবারের লোকজন। অজ্ঞাত পরিচয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাহিদুলকে ৫ সেপ্টেম্বর সেখান থেকে উদ্ধার করে তারা বাড়ীতে নিয়ে আসেন।
নিহতের বড়ভাই এমদাদুল হক জানান, তার কাছেই তারা জানতে পারেন নিখোজের ২ দিন পর ৪ আগস্ট জাহেদুল ভিতরবন্দ চন্ডীপুরের হবিবর রহমান পানাতীর ছেলে নজরুল ইসলাম (৩০) এর বাড়ীতে যাওয়ার সময় তার স্ত্রীকে পুকুরে গোসল করতে দেখে হাসাহাসি করে। এটি গৃহবধু তার বাড়ীতে জানালে তার স্বামী নজরুল ইসলাম, আব্দুর রহমানের ছেলে রফিকুল ইসলাম, দবির উদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমান (৪০) তাকে বেদম মারপিট করেন। এতে সে গুরুত্বর আহত হলে তারা তাকে বাড়ীতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। অবস্থার অবনতি ঘটলে গোপনে তারা তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে বাসায় ফিরে আসেন। সেখানে সে এতদিন অজ্ঞাত পরিচয়ে চিকিৎসাধীন ছিল। ৫ সেপ্টেম্বর সেখান থেকে তাকে বাড়ীতে নিয়ে আসার পর ফের অসুস্থ্য হলে ৭ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রাম জেলা সদর হ্সপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে চিকিৎসকরা তাকে রংপুর মেডিােল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলেন। পরে তারা পরিবারের সাথে পরামর্শ করে ১২ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রাম পপুলারে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ীতে এনে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র মেনে ঔষধ সেবন ও শশ্রুষা দিয়ে আসছেন। এ অবস্থায় ২২ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪ টায় বাড়ীতে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বড়ভাই এমদাদুল হক বাদী হয়ে রবিবার রাতেই নাগেশ্বরী থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নাগেশ্বরী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুপ কুমার মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
Leave a Reply