ফরিদুল ইসলাম,নিজস্ব প্রতিনিধি:
প্রকৃতির অবুঝ রোষের পর অবশেষে কুড়িগ্রামে নেমে এলো প্রতীক্ষিত শান্তির বারিধারা। দীর্ঘদিনের তীব্র খরতাপ, চাতকের মতো অপেক্ষার পর যেন আকাশের বুকে ফুটে উঠল মুক্তির বার্তা। স্থানীয় সময় বিকেল ৩:৫২ মিনিটে যখন আকাশে মেঘের কালো পর্দা জমে উঠেছিল, তখনই ঝরঝর করে নেমে আসে বৃষ্টির মৃদু পরশ।
বিশেষ করে কুড়িগ্রাম শহরের আরডিআরএস অফিস এলাকায় প্রথম দেখা মেলে এই স্বস্তির বৃষ্টির। এখানকার পথচারী এবং আশপাশের দোকানিরা সবাই বৃষ্টির শীতল ছোঁয়া পেয়ে কিছুক্ষণের জন্য হলেও ক্লান্তি ভুলে গিয়েছিল। যদিও বৃষ্টি ছিল স্বল্প সময়ের জন্য, তবে জনমনে এনেছে এক অদ্ভুত স্বস্তি। তীব্র গরমে ক্লান্ত-শ্রান্ত মানুষ, শুকিয়ে যাওয়া মাঠঘাট, ফেটে যাওয়া মাটি—সব কিছুই যেন নতুন প্রাণ খুঁজে পেল এই ক্ষণস্থায়ী বৃষ্টিতে। কুয়াশার পরশের মতো নরম, শান্তির স্পর্শে ভিজে উঠেছে কুড়িগ্রামের প্রতিটি কোণ।
গাঁও-গেরামের কৃষকের মুখে দেখা দিয়েছে এক নতুন আশা। জমিতে ফাটা মাটির বুকেও যেন মৃদু হাসির আভাস ফুটে উঠল। সেই সাথে ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চারা ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এলো বৃষ্টির আনন্দে। শহরের ব্যস্ত পথচারীরা দেরি না করে নিজেদের ছাতা মেলে ধরলেও তাদের চোখেমুখেও ছিল এক প্রশান্তির ছাপ।
বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পরও আকাশের কান্না যেন মানুষের মনে রেখে গেল এক প্রশান্তির স্মৃতি। শহরজুড়ে বইছে শীতল বাতাস, খরতাপের ধোঁয়াশা মুছে প্রকৃতি যেন নতুন করে সাজছে। এই সামান্য বৃষ্টি কুড়িগ্রামের মানুষের হৃদয়ে যেন আশার প্রদীপ জ্বালিয়েছে।
প্রকৃতির ছোট্ট এই উপহার হয়তো তেমন দীর্ঘায়িত নয়, তবু তা জনমনে এক গভীর প্রশান্তির অনুভূতি এনে দিয়েছে।
Leave a Reply