আল মামুন,ভুরুঙ্গামারী প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার আঙ্গারীয়া সনাতন পাড়া প্রাইমারি স্কুলের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক শ্রী বিনয় চন্দ্র রায় পিআরএলজনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ১৪সেপ্টেম্বর (শনিবার) স্কুলের পক্ষ থেকে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বিভিন্ন প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকগন ও উপস্থিত ছিলেন স্কুলের প্রাক্তন স্যার, ম্যামসহ বর্তমান শিক্ষকমন্ডলী।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন,‘যেতে নাহি দিব! হায়, তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়।’ বিদায় বড় কষ্টের? প্রিয় স্যারের বিদায়ে শিক্ষার্থীরা যেতে দিতে চাই না, তবুও বিদায় বলে দিতে হয়। আপনার পদচারণা আমাদের ক্যাম্পাসে দেখা যাবে না। আপনি চলে গেলেন অবসরে।
এ ছাড়াও স্কুলের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে স্যারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। স্কুলের শিক্ষকসহ বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকরা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
উক্ত স্কুলের ২০০৬ সালের ব্যাচে শিক্ষাথী আল মামুন মিন্টু স্যারের কর্মজীবন সম্পর্কে বলেন, তিনি নীতি, আদর্শ ও পান্ডিত্যে অনন্য। তিনি নৈতিক শিক্ষা দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের। স্কুলকে সাজিয়েছেন সুন্দরভাবে। স্যার সব সময় আমাদের কথা চিন্তা করতেন। স্কুলের প্রধান হলেও সময় হওয়া মাত্রই ক্লাসে চলে আসতেন। স্যার এমনভাবে গল্পের মতো করে পড়া বোঝাতেন যে, আমাদের আর বাসায় এসে পড়তে হতো না। স্যার সব সময় শিক্ষার্থীদের সাপোর্ট করতেন।
পরীক্ষার সময় স্যার বলতেন,‘এখনো সময় আছে পড়ার জন্য, তোমরা বাসায় পড়ো। প্রশ্ন কী আসছে সেগুলো বাসায় গিয়ে পড়ে নাও।’ স্যারের রুমে গেলে যেকোনো বিষয়ে জিজ্ঞেস করার জন্য স্যার সুন্দরভাবে বুঝিয়ে বলতেন। বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অশ্রুসিক্ত নয়নে স্যার বলেছেন, আমার দীর্ঘ যাত্রায় ক্লাসরুম, শিক্ষকতা ও তোমাদের অনেক মিস করব। নিজেকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলো। সফল মানুষ হিসেবে নিজেদের তৈরি করো। স্যার কী রকম ছিলেন তা বোঝা গেছে অডিটোরিয়াম কানায় কানায় ভরপুর দেখে। উপস্থিত সকলেই স্যারের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। আগামীর দিনগুলো অনিন্দ্য সুন্দর হোক স্যারের।
Leave a Reply