ইয়াছিন আরাফাত রৌমারী প্রতিনিধি:
মহান মুক্তিযুদ্ধের মুক্তাঞ্চল কুড়িগ্রামের রৌমারীকে ঘিরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ইতিহাস ও কর্মযজ্ঞ দেশ ও জাতির সামনে তুলে ধরতে এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসমূহ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করার লক্ষ্যে গঠিত ‘মুক্তাঞ্চল পাঠাগার ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি সংগ্রহশালা’ এর উদ্যোগে দেয়াল লিখনি কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
৬ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সকাল হতে দুইদিন ব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পার্শ্ববর্তী দেয়াল ও প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে বিভিন্ন স্লোগান লিখনির মাধ্যমে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মুক্তাঞ্চল পাঠাগার ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি সংগ্রহশালার সদস্য মো. নাসির হোসাইন, ইয়াছির আরফাত নাহিদ, মিঠুন মিয়া, মর্তুজ আহমেদ, ওমর ফারুক, সোহেল রানা, মঞ্জুরুল ইসলাম তামিম, রাজু আহমেদ, সবুজ আহমেদ, হোরায়রা আহমেদ, বিপ্লব হাসান, মমিনুল ইসলাম, রাকিব হাসানসহ অনেকেই।
মুক্তাঞ্চল পাঠাগার ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি সংগ্রহশালা’র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শামিম আকতার শুভ জানান, জেড ফোর্স কমান্ডার, মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ঐতিহাসিক অমর বাণী, ‘আমি মেজর জিয়া বলছি- উই রিভোল্ট’ এই ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলার মানুষ স্বাধীনতা অর্জন করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় রৌমারীতে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ৬৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধা ট্রেনিং গ্রহণ করেন। যুদ্ধ চলাকালীন সময় ও পরবর্তীকালে তিনি রৌমারীতে বেশ কিছু কর্মযজ্ঞ করেন যা আজও স্মরণীয় হয়ে আছে। রৌমারীতে প্রথম বেসামরিক প্রশাসন ব্যাবস্থার পাশাপাশি, তিনি রৌমারী মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্টাসহ নানা ধরনের কাজ করেন। তিনি আরও জানান, জিয়াউর রহমান ২৮ আগষ্ট ১৯৭১ রৌমারীতে এসে বলেন, ‘রৌমারীতে আসলে আমি স্বাধীনতার স্বাদ পাই। মুক্তাঞ্চল রৌমারীকে ঘিরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ইতিহাস ও কর্মযজ্ঞ দেশ ও জাতির সামনে তুলে ধরতে এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসমূহ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করার লক্ষ্যে আমাদের বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান আছে ও থাকবে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply