আমিনুল ইসলাম,নিজস্ব প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং উলিপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. রেজওয়ানুল হকের বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মানহানীর মামলার পিটিশন দাখিল হয়েছে। রোববার দুপুরে উলিপুর উপজেলার দায়িত্ব প্রাপ্ত সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা খান এর আদালতে এ পিটিশন করা হয়। মঞ্জুরুল কাদের (মমিনুল) নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে অভিযাগটি দায়ের করেন। তিনি উলিপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য এবং গণমাধ্যমকর্মী।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার রফিকুল ইসলাম পিটিশনের বরাতে বলেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. রেজওয়ানুল হক সরকারি কর্মচারী হওয়া স্বত্বেও জনগণের কাজ না করে সর্বদা মামলার পিটিশনে উল্লেখিত ব্যাক্তি দ্বয়ের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে আসছিল। গত ১৫ মে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের কৃত্রিম প্রজনন স্বেচ্ছাসেবী সদস্য, পশু পালন খামারী ও কৃত্রিম প্রজনন কর্মীদের উপস্থিতে এক মত বিনিময় সভায় ডা. রেজওয়ানুল হক রাষ্ট্র ক্ষমতার প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে নানা ধরনের কুরুচিপূর্ণ কুটুক্তি করেন। এছাড়াও বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনকে নিয়ে নানা গালিগালাজও করা হয়। বিষয়টি নিয়ে উলিপুর থানায় অভিযোগ দেয়া হলেও পুলিশ আইনগত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আদালতে পিটিশন মামলাটি দায়ের করেন।
বাদী মমিনুল ইসলাম বলেন, উস্কানিমূলক বক্তব্যসহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করায় ওই মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ব্যাক্তিদের সম্মুখে ও সমাজে, আমার ও আমার নেতা ও নেত্রীর যথেষ্ট মান সম্মানের ক্ষতি হয়েছে। তাই এ সম্মানহানির ক্ষতিপূরণ এবং আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মামলা দায়েরের জন্য পিটিশন দাখিল করি।
আদালতের পেশকার রফিকুল ইসলাম বলেন, ন্যায় আদালত ফৌজদারী কার্যবিধির ৫০০/১০৯ ধারার অভিযোগের আর্জি শোনেন এবং ঘটনা তদন্তে উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে মামলার পরবর্তী আদেশ দিবেন বিজ্ঞ বিচারক।
Leave a Reply