মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমানের সঙ্গে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের এক মিটিংয়ে হলে অভিযান পরিচালনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
সবচেয়ে বেশি অস্ত্র পাওয়া যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলে। শেখ রাসেল হলে থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন আকাশ। এছাড়াও মঙ্গলবার তাজউদ্দীন আহমেদ হলের একটি ফ্লোরে অভিযান চালানো হলে সেখানে দেশীয় অস্ত্র ও মদের বোতল পাওয়া যায়। সেই হলে থাকতেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এম মাসুদ রানা মিঠু।
অভিযানে শেখ রাসেল হল থেকে ৯৬টি সামুরাই, স্টিলের পাইপ ১৫৭টি, পেট্রল বোমা চারটি, বাঁশের লাঠি ২৫৭টি, হেলমেট ১৬টি, মদের বোতল চারটি, রড দিয়ে বানানো লাঠি ৯২টি, স্ট্যাম্প ২৭টি ও মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়।
এছাড়াও অন্যান্য হলে একই ধরনের দেশীয় অস্ত্র, হকিস্টিক, গাঁজা ও মাদকদ্রব্য সেবনের সামগ্রী পাওয়া যায়। পরে উদ্ধার অস্ত্রগুলো শিক্ষার্থীরা সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রারসহ সংশ্লিষ্ট হলগুলোর শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযান প্রসঙ্গে হাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. সাইফুর রহমান জানান, সেনাবাহিনী ও একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিপুল সামুরাই লোহার পাইপ, বাঁশের লাঠি, ককটেলসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। এগুলো সেনাবাহিনীর কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply