সুজন মাহমুদ, রাজিবপুর (কুড়িগ্রাম)
কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে উপজেলা বিএনপি।
আজ বুধবার (১৪ আগস্ট) সকাল ১১টায় রাজিবপুর উপজেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে উপজেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাজারের সুপার মার্কেট এলাকায় অবস্থান নেন উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। পরে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহবুবুর রশীদ মন্ডল, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক রুস্তম মাহমুদ, সেচ্ছাসবেক দলের আহবায়ক মোস্তফা কামাল, ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক মনির হোসেন, ছাত্রদল আহবায়ক মোখলেছুর রহমান, সদস্য সচিব নাজমুল হাসান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর আমরা শান্তিতে ঘুমাতে পারি নাই। খুনি হাসিনার ধূসররা আমাদের গায়েবি মামলা দিয়ে হয়রানি করিয়েছে। ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে খুনি হাসিনা দেশ থেকে পালিয়েছে। হাসিনা ক্ষমতায় থাকার জন্য যে গণহত্যা চালিয়েছে এজন্য আমরা খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই। আওয়ামিলীগ নেতাদের উদ্দেশ্য করে বক্তারা আরও বলেন, রাজীবপুর শান্তিশৃঙ্খল একটি এলাকা আমরা চাই আপনারা আগামীকাল যে ভণ্ডামির দিবস পালন করেছেন ইতিপূর্বে সেটি আর রাজিবপুরের মাটিতে পালন করবেন না যদি করার চেষ্টা করেন আমরা তা শক্ত হাতে প্রতিহত করবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাই, সাবেক সভাপতি মোখলেছুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান (আর্মি) সহ উপজেলা বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
একই দিনে বিকেল সাড়ে ৫টায় সাঈদীর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীতে তার খুনিদের ফাঁসি চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে রাজীবপুর উপজেলা জামায়াত। আছরের নামাজ শেষে আল্লামা সাঈদীর জন্য দোয়া করে উপজেলা মসজিদ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সুপার মার্কেট এলাকায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুল লতিফ। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র করে আল্লামা সাঈদী সাহেব হত্যা করা হয়েছে। আজ তার প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী। আমরা ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দ্বিতীয় স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করছি। আল্লামা সাঈদীসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন তিনি। পরে আগামীকালের কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সকলকে সকাল ৭টার মধ্যে উপজেলা জামায়াতের কার্যালয়ে আসার আহবানও জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সদর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি ডাঃ শাহাব উদ্দিন, কোদালকাটি ইউনিয়ন সভাপতি মফিজুল হক, থানা শিবির সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি রাসেল মিয়া, হাবিবুলাহ আল হাবিব প্রমুখ।
Leave a Reply