সুজন মাহমুদ, রাজীবপুর (কুড়িগ্রাম):
গত ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। এর পর সারাদেশে ঘটে গেছে অনেক ঘটনা। রাস্তায় ট্রাফিকের দায়িত্ব, মন্দির পাহারা, এলাকায় ডাকাতদের প্রতিহত ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ যেন কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেদিকেও নজর রাখে ছাত্রজনতা। এরই মধ্যে সারাদেশেকে ঢেলে সাজাতে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিচ্ছে।
তারই ধারাবাহিকতায় কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা উপজেলাকে নতুন রূপ দিতে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আজ শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে রাজীবপুর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় টি পরিষ্কার-পরিছন্নতার মাধ্যমে তাদের কর্মসূচি শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রে থাকা প্রতিটি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা পরিষ্কার পরিছন্ন করা হয়েছে। পরিষ্কার-পরিছন্ন করা হয় রাজীবপুর উপজেলা পরিষদ, উপজেলা ক্যাম্পাস, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, শিশুপার্কসহ গুরুত্বপূর্ণ সব সরকারি স্থাপনা। তাদের কর্মসূচিতে ছিলো, দেওয়ালে গ্রাফিতি ও শহীদমিনারের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে রং করা হয়েছে।
কথা হয় আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থী আল-মামুন জয়, তাইফ মন্ডল, আকিব হাসান, মো: নেজাত ও মোহনার সঙ্গে তারা বলেন, আমরা এক অন্যরকম বাংলাদেশকে বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করতে চাই। এজন্য আমাদের উপজেলার প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি স্থাপনা পরিষ্কার করছি। শহীদের স্মরনে শহীদমিনার পরিষ্কার এবং রং করছি। তারা আরও বলেন, যেহেতু আমরা দেশটা নতুন ভাবে স্বাধীন করেছি। সেহেতু এই দেশের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা এবং যত অনিয়ম, দুর্নীতি, নাশকতা, নৈরাজ্য হবে আমরা তা প্রতিহত করবো। আর যদি কোনো রাজনৈতিক দল শিক্ষার্থীদের উপর ভর করে নাশকতা বা নৈরাজ্য করার চেষ্টা করে তাহলে সেটার দাঁতভাঙ্গা জবাব আমরা দিবো। আর প্রশাসন (পুলিশ) যখন কর্মবিরতি থেকে ফিরে আসবে আমরা শিক্ষার্থীরা তখন ঘরে ফিরে যাবো। এবং সব দায়দায়িত্ব তখন তারাই নিবে।
Leave a Reply