ছিটমহল বিনিময়ের নবম বর্ষপূর্তিতে ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের অভ্যন্তরের বিলুপ্ত দাসিয়ারছড়া ছিটমহলে নানা আয়োজনে মুক্তির স্বাধীনতার এ দিনটিকে স্মরণ করেছে অধীবাসীরা।
১৯৭৪ সালের ১৬ মে ঐতিহাসিক মুজিব-ইন্দারা চুক্তির আলোকে ২০১৫ সালের ৩১ মধ্যরাতে ছিটমহল বিনিময় চুক্তি কার্যকর হয়। ৬৮ বছরের বন্দিদশা আর বঞ্চনার জীবনের অবসান ঘটে।কাঙ্ক্ষিত মুক্তির স্বাদ আর বিজয়োল্লাসে ফেটে পড়ে ছিটবাসী। অধিকার বঞ্চিত জীবনের অবসান ঘটে। তাই এ দিনটিকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে বিলুপ্ত ছিটমহলবাসী।
এই অনুষ্ঠান পলক্ষে বুধবার মধ্যরাতে বিলুপ্ত দাসিয়ারছড়া ছিটমহলের কালির হাটে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।সাবেক বাংলাদেশ- ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির দাসিয়ারছড়া ইউনিটের সভাপতি আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন ছিটমহল বিনিময় কমিটির বাংলাদেশ অংশের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তাফা,সিনিয়র সাংবাদিক শ্যামল ভৌমিক, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক মিলন, উপজেলা জাতীয় নেতা পার্টির মইনুল হক খন্দকার ও হারুন অর রশিদ হারুন সহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
গোলাম মোস্তফা তার বক্তব্যে স্বাধীনতা লাভের মাত্র নয় বছরে ছিটমহলের অকল্পনীয় উন্নয়নের জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। পাশাপাশি তিনি দাসিয়ার ছড়াকে একটি স্বতন্ত্র ইউনিয়ন হিসেবে ঘোষণা করে হাসিনা নগর নামকরণের দাবিও করেন।
উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক মিলন বলেন, ৭৪ এর চুক্তির পরে দেশে অনেক সরকার এসেছে গেছে। কিন্তু কেউই ছিটমহলের বাসিন্দাদের দুঃখ-দুর্দশা দেখেননি। মানবতার জননী বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কূটনৈতিক তৎপরতায় ইন্দিরা- মুজিব চুক্তির বাস্তবায়ন হয়েছে। ফলে বিনা রক্তপাতে ছিটমহলবাসীর স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। এটি পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। ছিটমহলের স্বাধীনতা এনে দিয়ে তিনি থেমে থাকেননি। দাসিয়ারছড়া বাসির জীবনমান উন্নয়নে তিনি নিরলস কাজ করে গেছেন। শেখ হাসিনার হাত ধরেই বদলে গেছে দাসিয়ার ছড়া। দাসিয়ার ছড়া এখন আলোকিত জনপদ।
আলোচনা সভা শেষে দীর্ঘ ৬৮ বছরের অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবন-যাপন থেকে মুক্তির প্রতীকী হিসেবে ৬৮ টি মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। সবশেষে ছিটমহলের স্বাধীনতা লাভের ১০ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে কেক কাটেন বিলুপ্ত ছিটমহলের বাসিন্দারা।
Leave a Reply