নুরুজ্জামান সরকার, নাগেশ্বরী প্রতিনিধি:
অভাব, অনটন আর দারিদ্রের কশাঘাতে জর্জরিত শবে কদর আলী(৬৫)। নিজের জমি-জমা তো দূরের কথা মাথা গোঁজার ঠাঁই টুকু পর্যন্ত নেই। অন্যের দয়ায় বাঁশঝাড়ের কোনায় ঝুপড়িতে কোনোমতে বসবাস করছেন। সেখানেই স্ত্রীকে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটে তার।নড়বড়ে খুঁটি আর জোড়া জাপটার ঘর যে কোনো সময়ে থুবড়ে পড়তে পারে। আশঙ্কায় দিন কাটে তার। একটা ঘর হলে অন্তত নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবেন। শবে কদরের বাড়ি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের মেছনিরপাড় গ্রামে।
তিনি জানান, তার আদি বাড়ি ছিল উপজেলার কালিগঞ্জের গঙ্গাধর নদী পাড়ের খেলার ভিটা গ্ৰামে।এক সময় সব ছিল তার। নদীর ভাঙনে বাপ-দাদার ভিটা জমি জীরেত সব কিছু নদীতে বিলীন হয়েছে। বাঁধে ঠাঁই নিয়েছিলেন। তাও নদীতে গেছে। বাধ্য হয়ে চলে আসেন নাগেশ্বরী পৌরসভার মেছনিরপাড় গ্রামে। এক ছেলে আর তিন মেয়ে। ছেলে মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। তারা আর বাপ-মায়ের খোঁজখবর রাখেন না।বয়সের ভারে নুয্য শবে কদরের শরীরে বেধেছে নানা অসুখ। শ্রম দিতে পারেন না। স্ত্রীর ঝি এর আয়ে জীবন চলে। কাজ চললেও খান না হলে উপোস দিতে হয়। তিনি আক্ষেপ করে বলেন,ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় তথ্য সংগ্রহকারী জন্ম তারিখ ভুল লেখায় পান না সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুযোগ সুবিধা।
টাকা নেই।
মেরামতের অভাবে ঘরের খুঁটি নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। বেড়ায় অসংখ্য জোড়াতালি। ছাউনি নষ্ট হয়ে গেছে। সামান্য বৃষ্টিতে চাল চুঁইয়ে পানি পড়ে । বেশি বৃষ্টি হলে সব ভিজে যায় । হালকা বাতাসে যে কোন ঘরটি দুমড়ে মুচড়ে ভেঙ্গে যেতে পারে।
অনেকের কাছে নিজের দুঃখের কথা বলেছেন। একটি সরকারী ঘর চান। মিলেছে শুধুই আশ্বাস। ঘর আর পান না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও )সিব্বির আহমেদ জানান, বিষয়টি তাঁর জানা ছিল না। ভুক্তভোগী আবেদন করলে তার জন্য যথাসম্ভব একটা ঘরের ব্যবস্থা করা হবে।
Leave a Reply