1. editor1@kurigramsongbad.com : কুড়িগ্রাম সংবাদ :
  2. sifat@kurigramsongbad.com : sifat :
  3. siteaccess@pixelsuggest.com : কুড়িগ্রাম সংবাদ :
সাম্প্রতিক :
পাকিস্তানে সিন্ধু নদের এক ফোঁটা পানিও যেতে দেবে না ভারত: বললেন ভারতীয় মন্ত্রী রৌমারীতে পরকীয়ার অভিযোগে পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার ছাত্র মজলিসের রাজশাহী বিভাগীয় জোনাল কর্মশালা অনুষ্ঠিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত ভর্তি কার্যক্রম শুরু ২৭ এপ্রিল রাবির ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত; ৬ বিভাগের জন্য নিতে হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা লিবিয়ায় বন্দিজীবনের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা: কুড়িগ্রামের ইয়াকুবের বর্ণনা ইসরায়েলের বর্বরোচিত যুদ্ধের অবসান হোক বাংলাদেশে বড় আকারে লোডশেডিংয়ের আশঙ্কা: বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনায় চ্যালেঞ্জ বিদেশে বাংলাদেশিদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়,চক্রের মূলহোতা জাহিদ গ্রেফতার বেরোবিতে গুচ্ছ সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন: উপস্থিতি প্রায় ৯৬%

ধীরে ধীরে নামছে পানি, চরম ভোগান্তিতে বানভাসি মানুষজন

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১০ জুলাই, ২০২৪
  • ৩৬ বার পড়া হয়েছে
ছবি: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বন্যা কবলিত এলাকা

আমিনুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদের পানি এখনও বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত থাকায় কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে পানিবন্দী থাকায় বানভাসিদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।

জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা জানায়, জেলার ৯ উপজেলার ৫৫ ইউনিয়ন ও ১ টি পৌর এলাকার প্রায় ৩৭ হাজার ১শ’ পরিবারের দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী। প্লাবিত হওয়ায় ৩৯৭ টি বিদ্যালয়ে শ্রেণিপাঠ ও মূল্যায়ন পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়েছে।

বন্যা কবলিত এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে পানিবন্দি থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে দেড় লক্ষাধিক মানুষ। বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুকনো খাবারের সংকটে বানভাসিদের কষ্টের মাত্রা বর্ণনাতীত। প্লাবিত এলাকার গবাদিপশুর ভোগান্তিও চরমে।
উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব মশালের চর গ্রামের বাসিন্দা হামিদুল বলেন, ‘পানি ধীরে ধীরে কমতাছে। অহনও গ্রামের ৬০ ভাগ ঘরের ভেতর হাঁটু সমান পানি। রান্দন আর পানির কষ্ট। উঁচা জায়গায় রাইন্দা আইনা খাওন লাগে।’
এই গ্রামের খানিকটা পশ্চিমে ব্রহ্মপুত্রের ভাটিতে আরেকটি দ্বীপচর পশ্চিম মশালের চর গ্রাম। ভোগান্তির মাত্রা এখানে আরও বেশি। এখনও বেশিরভাগ পরিবারের ঘরে পানি। এই গ্রামের বাসিন্দা ফারুক বলেন, ‘ঘরে ঘরে পানি। কেউ নৌকায় আবার কেউ গবাদিপশু রাখার স্থানে রান্না করে কোনও রকম দিনযাপন করছে। ’

সদরের যাত্রাপুর, হলোখানা, ঘোগাদহ চও পাঁচগাছী ইউনিয়নসহ কুড়িগ্রাম পৌরসভার ধরলা তীরবর্তী কয়েকটি গ্রামে পানিবন্দী পরিবারগুলো ঘরবন্দী হয়ে নিদারুন কষ্টে রয়েছে। একই পরিস্থিতি চিলমারী, রৌমারী ও চর রাজিবপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের দুর্গত মানুষের।
পানিতে বসতবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় চরাঞ্চলের মানুষ নৌকায় ভাসমান জীবন যাপন করছেন। যাদের সে সামর্থ নেই তারা ঘরের ভেতর মাচান করে কিংবা ঘর ছেড়ে বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছেন। একেবারে নিরুপায় পরিবারগুলো আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাস করছে। শুকনো স্থান ও জ্বালানির অভাবে রান্না করতে পারছে না অনেক পরিবার। রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে থাকায় প্লাবিত এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।

বন্যাকবলিত এলাকায় মানুষের সাথে খাদ্য কষ্টে রয়েছে গবাদিপশু। প্লাবিত এলাকায় তৃণভূমি ও খড়ের ঢিবি তলিয়ে যাওয়ায় গোখাদ্যের সংস্থান নিয়ে বিপাকে পড়েছে পরিবারগুলো। কলাপাতা কিংবা শন দিয়ে গবাদিপশুর ক্ষুধা নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা। উপরন্তু গবাদিপশুর বাসস্থান নিয়ে চলছে উৎকন্ঠা।

শিক্ষা বিভাগ বলছে, জেলার প্লাবিদ হওয়ায় ২৮১ প্রাথমিক এবং ১২১ টি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিপাঠদান ও মূল্যায়ন পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।

এদিকে পানিবন্দি মানুষের খাদ্যকষ্ট লাঘবে সরকারি ত্রাণতৎপরতা অব্যাহত রেখেছে স্থানীয় প্রশাসন। মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলার দুর্গত মানুষদের জন্য ৫৪২ মেট্রিকটন চাল এবং ২২ হাজার ৬৯০ প্যাকেট শুকনা খাবার খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা।

বন্যা পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘ সরকারিভাবে ত্রাণ তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। সেই সাথে বিশুদ্ধ পানি, চিকিৎসা ও স্যানিটেশনের দিকে আমরা নজর দিয়েছি। মানুষের কষ্ট লাঘব করতে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, জেলায় ব্রহ্মপুত্রের সাথে দুধকুমার নদও বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলা পানি কমে মঙ্গলবার দুপুর ৩ টায় বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হেিয়ছে। এদিন দুপুরে দেওয়া বার্তায় পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টায় ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমারের পানি সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির পূর্বাভাস দিয়েছে পাউবো।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরিতে আরো খবর


Kurigram Songbad © 2025. All Rights Reserved.
Built with care by Pixel Suggest
error: Content is protected !!