আমিনুল ইসলাম,নিজস্ব প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। দুধকুমরের প্রবল স্রোতে নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে পাউবোর বাঁধ ভেঙ্গে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী, নুনখাওয়া ও হাতিয়া এবং পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমরের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দী হয় পড়েছে প্রায় সোয়া লাখ মানুষ।
নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রনি জানান, শনিবার সকালে আমার ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড এলাকায় পাউবো’র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে দু’টি অংশ দুধকুমরের প্রবল স্রোতে ভেসে যাওয়ায় মিয়াপাড়া, পাটেশ্বরী, মনিটারী, সর্দারটারী, আদর্শ বাজার, সেনপাড়া সহ ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। দুধকুমারের পানি হু হু করে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। তবে ভাঙ্গন এলাকায় এখন পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের কেউ খোঁজ নিতেও আসেনি। আমরা এসব এলাকার পানি বন্দি মানুষজনকে উদ্ধার করছি। কিছু ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছি, ত্রাণের আরো প্রয়োজন হবে।
জেলার নদ-নদী তীরবর্তী ৪৪ টি ইউনিয়নের ৩ শতাধিক গ্রাম বন্যার পানিতে ভাসছে। প্লাবিত হয়েছে ঘরবাড়ী, কাঁচা-পাকা সড়ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ফসলের ক্ষেত। কাঁচা-পাকা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। বন্যার পানিতে ঘরবাড়ী তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে মানুষজন। বানভাসি পরিবারগুলো বসতবাড়ীতে বাঁশের মাচান, নৌকা ও কলাগাছের ভেলায় আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। অধিকাংশের পরিবারে ৭দিন ধরে চুলা জ্বলছে না। বন্যা কবলিত এলাকায়, শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ খাবার পানি ও জীবন রক্ষাকারী ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। বানভাষীদের দুর্ভোগ লাগবে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে চাল, শুকনো খাবার ও নগদ টাকা বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, শনিবার বিকেলে ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার, হাতিয়া পয়েন্টে ৬৮ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৬১ সেন্টিমিটার এবং পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমরের পানি বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার, ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
Leave a Reply