অনলাইন ডেস্ক: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশে ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। এখন একটাই উদ্দেশ্য, ইন্টারনেট সেবার গুণগত মান বৃদ্ধি করা। এরই মধ্যে কল ড্রপ কমিয়ে এনে জনগণকে বিশ্বমানের টেলিকম সেবা দিতে করতে কাজ করছে সরকার।

শুক্রবার কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে নেটওয়ার্ক কোয়ালিটি টেস্ট বা ড্রাইভ টেস্ট কার্যক্রমকালে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যটন রাজধানী কক্সবাজার। প্রতিবছর দেশি-বিদেশি লাখ লাখ পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসেন। এ পর্যটন নগরীকে বিশ্বের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী বিশ্বমানের আইকনিক রেলস্টেশন, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করেছেন; যার সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এছাড়া কক্সবাজারে হাইটেক পার্ক নির্মাণের জন্য ১৭০ কোটি বরাদ্দ দিয়েছেন। এসব কিছু প্রধানমন্ত্রী করছেন দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য এবং কক্সবাজারকে বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করার জন্য। যার জন্য বিদ্যুৎ, দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা এবং সড়ক, রেল ও আকাশপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা; সবকিছু এখন কক্সবাজারে হয়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, পর্যটকরা কক্সবাজার ভ্রমণে এলে অনেক টাকা ব্যয় করেন। ফোন করে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে, ছবি কিংবা ভিডিও করে তা আপলোড করেন। ট্রেনের জন্য এক ঘণ্টা অপেক্ষা করছে বা ট্রেনে উঠে বসছে, তখন যেন পর্যটক বা যাত্রীরা ভালো গতির ইন্টারনেট পায়, ভালোভাবে যাতে কথা বলতে পারে এবং কল ড্রপ যাতে না হয় সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। এসব বিষয়গুলো নিয়ে সারাদেশে আমরা টেস্ট ড্রাইভ করছি।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রথমে চিন্তা করলাম যে ট্রেন স্টেশন, বাস স্টেশন ও বিমান বন্দরের পাশাপাশি পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ইন্টারনেট সেবার মান বৃদ্ধি করি। আর কক্সবাজারের আইকনিক রেলস্টেশনটা নতুন। এখানে প্রযুক্তিগত কারিগরি কিছু সক্ষমতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন আছে। ফলে স্টেশন মাস্টার ও যাত্রীদের সঙ্গে আলাপ করলাম। একই সঙ্গে টেস্টিং টুল যেটা কাঁধে বহন করে নেটওয়ার্ক কোয়ালিটি টেস্ট করা যায় এবং দুটি অত্যাধুনিক গাড়ি ঢাকা, কুমিল্লা, নোয়াখালী হয়ে চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার কাজ করছে। নেটওয়ার্ক কোয়ালিটি টেস্ট এটা নিয়মিত পুরো দেশে চলতে থাকবে।

এ সময় বিটিআরসির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুস্তাফিজ, কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের মাস্টার মো. গোলাম রব্বানীসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।