রাজিবপুর প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নে পাইক্যান্টারি পাড়া গ্রামে বন্যার পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে নদী ভাংগন শুরু হয়েছে।
ব্রহ্মপুত্রের থাবায় প্রতিবছরের ন্যায় এবারও নদীগর্ভে যাচ্ছে মানুষের বসতভিটা।
এবছর এক সপ্তাহে ৭/৮ বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে নেই তেমন কোনো পদক্ষেপও। কিছু জিও ব্যাগ দিয়েছে,যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। সেগুলো আবার পরিকল্পনা মাফিক, উজানে না দিয়ে স্রোতের বিপরীত পাশে দিয়েছে। যে কারণে উজান পাশ থেকে ভেংগে আসছে।
এবারের নদীভাঙ্গনে অসহায় হয়ে পড়েছে পাইক্যান্টারি শাহের বানু। একমাত্র থাকার অবলম্বন এখন নদীগর্ভে। বাড়ির বাকি অংশও দাঁড়িয়ে আছে নদীর ভয়ঙ্কর তীরে যা যেকোনো মূহুর্তেই নদীগর্ভে বিলীন হবে।
জানা যায়, বেশ কয়েকবার নদীতে বসতবাড়ি ভেঙ্গে যাওয়া এই শাহের বানু স্বামীকে হারান প্রায় ১৫ বছর আগে। ছেলেও তার বিয়ের পর পাড়ি জমিয়েছে ঢাকায়, নেয়না কোনো খোঁজ।
পাইক্যান্টারি গ্রামের শাহের বানু(৬০) বলেন,এই বয়সে৭/৮ বার নদীতে বাড়ি ভেঙ্গে গেছে। এখন কোথায় নিয়ে ঘর উঠাব,কি খাব।বন্যার কারণে কারো বাড়িতে কাজ নাই, কাজ না থাকলে কি খামু?ছোট দুইটি মেয়ে সাথী ও
সোহানা কে নিয়ে, খেয়ে না খেয়ে থাকতে হয়।অনেকের ভিডি, ভিজিএফ কার্ড আছে আমার কিছুই নেই।’’
একাধিক গ্রামবাসী জানায়,প্রতিবছরই আমাদের এলাকায় নদী ভাঙছে তবে নেয়া হয়না কোনো দৃশ্যমান দীর্ঘস্থায়ী পদক্ষেপ। আমরা যে কতটা বৈষম্যের শিকার তা খুব স্পষ্ট। দ্রুত যেন এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়ে আমাদের এলাকা রক্ষা করা হয় সেই দাবি জানাই।’’
Leave a Reply