উজানের ঢল আর বৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রামের সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমা ২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি হুহু করে বৃদ্ধির ফলে তলিয়ে গেছে নদের অববাহিকার চর, দ্বীপ চর ও নিম্নাঞ্চল। অন্যদিকে দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমা ২৬ সেন্টিমিটার, চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ২৫ সেন্টিমিটার ও হাতিয়া পয়েন্টে ২৬ সেন্টিমিটার বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব এলাকার অনেক বসতবাড়িতে পানি চলে এসেছে। কাচা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া নদী তীরবর্তী বসতবাড়িতে পানি উঠায় অনেকে গবাদী পশু আর আসবাবপত্র নিয়ে পার্শ্ববর্তী বাধে আশ্রয় নিলেও অনেকে বসতবাড়িতে উঁচু মাচান করে সেখানেই রয়েছেন।
চিলমারী উপজেলা বিভিন্ন চরের একাধিক ব্যক্তি বলেন, এমনিতেই নৌকা ছাড়া কোথাও যাওয়া আসা করতে পারিনা। এখন ঘরে পানি ওঠায় একদম ঘর থেকেই নৌকা দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ঘরে পানি ঢোকায় নৌকাতেই থাকতে হয় সারাদিন। গরু ছাগল আর ছোট বাচ্চা নিয়ে খুব কষ্টে দিন পাড় হচ্ছে। তার উপর আবার সাপের ভয়।
শ্বিকারপুর চরের জাহিদুল ইসলাম বলেন, টানা কয়েকদিন বৃষ্টির কারণে পানি বেড়ে চরের সকল মানুষ এখন পানি বন্দি হয়ে আছে। আর একটু পানি বাড়লে কোথাও বের হওয়ারও সুযোগ হবে না।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা ত্রাণ সহায়তা বিতরণ অব্যাহত রেখেছি। জেলা জুড়ে ৪ শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আবারও পানি বৃদ্ধির ফলে যেসব এলাকা প্লাবিত হচ্ছে আমরা সেদিকে বাড়তি নজর রাখছি।’
Leave a Reply