কুড়িগ্রামের রাজারহাটে লাম্পি স্কিন রোগ ভয়াবহতা বেড়েই চলেছে । গত সপ্তাহে হামার ১টা গরুর বাছুর মারা গেছে। আরও একটা গরু আক্রান্ত হয়েছে। গ্রামের ডাক্তার দেখিয়েছি তাতেও লাভ হয় নাই। এমন রোগ হামরা আগে দেখিনি বলে মন্তব্য করেন প্রান্তিক কৃষক এমদাদুল হক সরকার। তিনি বলেন এই রোগে অনেকের গরু আক্রান্ত হয়েছে।লাম্পি স্কিনের ভয়াবহতায় আতংকিত খামারি ও প্রান্তিক কৃষক।রাজারহাট ইউনিয়নের রতন কুমার রায়ের একটি, ছিনাই ইউনিয়নের সাজেদুর রহমানের একটি,২৭জুন বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের সুখদেব এলাকার কৃষক রবিউল ইসলামের ১মাঝারি গরু, জাহাঙ্গীর আলমের ১টি গরু, মাঈদুল ইসলামের ১টি মাঝারি গরু লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
পল্লী পশু চিকিৎসকরা বলেন, লাম্পি স্কিন গবাদি পশুর নতুন একটি রোগ। যার প্রতিষেধক বেসরকারিভাবে বিভিন্ন কোম্পানির কাছে পাওয়া গেলেও সরকারিভাবে এখনো আসেনি। আক্রান্ত পশুর প্রথমে সামনের পা ফুলে যায়। তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে শরীরে বড় বড় গুটি দেখা দেয়। এক সপ্তাহ পরে গুটিগুলো গলে ঘা হয়। ঘা থেকে অনবরত তরল পদার্থ বের হয়। অল্প দিনে গরু শুকিয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে মারা যায়। তবে আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা খুবই কম।
আজ সোমবার(১জুলাই) বিকালে রাজারহাট উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মাহফুজার রহমান বলেন, লাম্পি স্কিন ডিজিজ এখন ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। যারা আক্রান্ত গরু আমাদের কাছে নিয়ে এসেছেন তাদের আমরা চিকিৎসা ও পরামর্শ দিয়েছি। এছাড়া এ রোগটি ডেঙ্গু রোগের মতো মশা মাছি এবং সুচ দ্বারা ছড়িয়ে পড়ে। সেকারণে আক্রান্ত গরু অবশ্যই আলাদা করে মশারি দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। লাম্পি স্কিন রোগ সামাজিক আন্দোলন করে প্রতিরোধ করা সম্ভব। আক্রান্ত গরুকে ব্যথার ওষুধ প্যারাসিটামল, নিমপাতার রস, খাবার সোডা, লেবুর রস, আদার রস, দানাগুড় ও লবন খাওয়ানো যেতে পারে। এবারে বড় গরুর চেয়ে বাছুরগুলো বেশী মারা যাচ্ছে। তবে আমাদের কাছে সব গুলোর তথ্য নেই। খামারিদের তুলনায় প্রান্তিক কৃষকদের গরু লাম্পি স্কিন রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। আমরা মাঠ পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আক্রান্ত গরুর সুচিকিৎসার জন্য উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরে দ্রুত যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
Leave a Reply