মোজাম্মেল হক হৃদয়, বিশেষ প্রতিবেদক: ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে ৩ কোটি টাকার আত্মসাৎ এর ঘটনার মূল মাস্টারমাইন্ড হিসেবে উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করছেন সংস্থাটির ফিল্ড অফিসার রেজাউল করিম রেজা কারিগর।
আজ সোমবার (১ লা জুলাই, ২০২৪) রেজা তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে আইডিতে লিখেন, ‘mastermind and Director to establish international development enterprise(iDE). মরহুম মনসুর আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী আমাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে, ভুয়া কোম্পানির প্রতিষ্ঠিত করে আমাদের দ্বারা এটা পরিচালনা করায়। পুরো বিষয়টার মূল কারিগর ছিল মোহাম্মদ আলী। সংস্থার সমস্ত হিসাব-নিকাশ পাট বাই পাট মোঃ আলি প্রত্যেকদিন রাতে আমাদের কাছ থেকে বুঝায় নিত । আমাদের মাসিক নির্দিষ্ট পরিমাণের একটা বেতন দিত। হঠাৎ একদিন আমাদেরকে সে ডেকে নিয়ে ছোট্ট একটা মিটিং করে এবং প্রতিজ্ঞা করায় যে আজকের মিটিং এ যে কথাগুলো হবে এগুলা দুনিয়ার কাউকে শেয়ার করা যাবে না। সেই মিটিংয়ে মোহাম্মদ আলী কাকা আমাদেরকে যেটা বলে, এভাবে সমাজে কত দিন চলবি। যদি বাঁচতে হয় তাহলে বীরের মত বাঁচতে হবে। বেকার জীবন নিয়ে কতদিন এভাবে ঘুরবি। অতএব আমার কথা মত কাজ কর। টাকা ইনকাম করা খুব সহজ কাজ। আমার কাছে একটা প্লান আছে, প্ল্যানটা যদি সাকসেসফুল করতে পারোস। তাহলে তোদের জীবনটাকে একটা সেটেলমেন্টের পৌছায় দিব। এভাবে আরো বিভিন্ন রকমের লোভ লালসা আমাদেরকে দেখায়। কিন্তু দিনশেষে আমাদের হাতে হেরিকেন ধরিয়ে দিয়েছে।সমস্ত টাকাগুলো তার কাছে জমা রাখত। দিনশেষে আমাদের খুব সামান্য একটা টাকা দিয়েছে ঢাকা আসার জন্য । বাকি সমস্ত টাকা সে আত্মসাৎ করেছে একা। এখন আমাদেরকে ফাঁসায় দিছে।
রেজা কারিগর আরো উল্লেখ করেন, ‘মাস্টারমাইন্ড ছিল তিনি। এখন তিনি নাক ডেকে ঘুমায়। আর আমরা লুকিয়ে বেড়াচ্ছি। মোহাম্মদ আলী কাকা কাজটা খুব খারাপ করছে আমাদের সাথে। আমরা না বুঝে তার ফাঁদে পা দিয়ে জীবনটা ধ্বংস করলাম। এটার বিচার উপরওয়ালা করবে ইনশাল্লাহ। আমাদের জীবন গুলোর সাথে আমাদের পরিবারের জীবন গুলো সে ধ্বংস করে দিলো। আগে যদি বুঝতাম কখনো ভুল করেও তার ফাঁদে পা দিতাম না।’’
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও এলাকা জুড়ে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি।
জানা যায়, জামালপুর জেলার দেয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নে উন্নয়নের নামে এলাকার দুস্থ,অসহায়দের উন্নয়ন ও স্বাবলম্বীকরণ প্রকল্প এবং তাদের বাড়িঘর ও বিভিন্ন ভাতার নাম করে দেয়ার কথা বলে প্রায় ২ হাজার পরিবারের থেকে প্রায় ৩ কোটি টাকা অবৈধভাবে নিয়ে গা ঢাকা দেয় সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা ও অন্যান্য সদস্যরা।
এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে ঘটনার মূলহোতা মোহাম্মদ আলী সরকারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অন্যান্য মাধ্যমে তার সাড়া মেলেনি।
Leave a Reply