দক্ষিণ আফ্রিকা মানেই নাটকীয়তা, দক্ষিণ আফ্রিকা মানেই হতাশা। ম্যাচ পুরোপুরি অনুকূলে থাকার পরও জয়ের একদম কাছাকাছি এসেও পরাজয়ের অনেক রেকর্ড রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার।এজন্য দলটি চোকার্স নামেই পরিচিত।
১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার সাথে শেষ বলে এক রান নিতে গিয়ে এলেন ডোনাল্ড দৌড় শেষ করতে পারেনি।সেই থেকে তারা চোকার্স তকমা পায়।এরপর সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন দেশের সাথে সিরিজ খেলে ভালো পারফরম্যান্স করলেও বড় কোনো আসরে দেখা যায় তাদের ভিন্ন রুপ।এখন পর্যন্ত যতো গুলো বিশ্বকাপ আসর হয়েছে প্রথম রাউন্ড,কোয়ার্টার ফাইনাল খুব ভালোভাবে শেষ করে সেমিফাইনালে গিয়ে জেতা ম্যাচ অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে হেরে বসে। দুইটি বিশ্বকাপ ও একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা শক্তিশালী ভারত এবারের আসরেও ছিলো দুর্দান্ত। ফাইনাল পর্যন্ত তারা একটি ম্যাচও হারেনি।অন্যদিকে সাউথ আফ্রিকাও কোনো ম্যাচ হারার স্বাদ পায়নি।
আজ বার্বাডোসে রাত সাড়ে ৮ টায় শুরু হওয়া চ্যালেঞ্জিং একটা ম্যাচে অনেক প্রত্যাশা মাঠে নেমেছিলো দলটি।শক্তিশালী ভারতের দেওয়া ১৭৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব ভালো করতে না পারলেও পরবর্তীতে জয়ের সমূহ সম্ভাবনা তৈরি করে দলটি।বিশেষ করে ক্লাসেন যতোক্ষণ উইকেটে ছিলো।ক্লাসেন আউট হওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের জন্য দরকার ছিলো ২৮ বলে মাত্র ২৭ রান হাতে ছিলো পাঁচটি উইকেট,যা টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কোনো ব্যপারই না।অথচ সেই ম্যাচ তারা হেরে বসে ৭ রানে।তবে সেই ক্ষেত্রে হার্ডিক পান্ডিয়া এবং জাস্প্রীত বুমরার অবদান অনেক দিন মনে রাখবে ভারতীয় সহ তাদের সাপোর্টাররা। বিশেষ করে বুমরার করা ১৮ তম ওভারে মাত্র দুই রান দিয়ে উইকেট নেওয়াটা ম্যাচ পুরোপুরি ভারতের দখলে নিয়ে আসে। শেষ পেরেকটা ঠুকিয়ে দেন হার্ডিক পান্ডিয়া। যার পরিনাম ভারতের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকার ৭ রানের হার। আর এর মাধ্যমেই আবারো প্রমাণ হলো দক্ষিণ আফ্রিকা আসলেই চোকার্স।
Leave a Reply