1. editor1@kurigramsongbad.com : কুড়িগ্রাম সংবাদ :
  2. sifat@kurigramsongbad.com : sifat :
  3. siteaccess@pixelsuggest.com : কুড়িগ্রাম সংবাদ :

বাংলাদেশের জনগণের কাছে আমি কৃতজ্ঞ : শেখ হাসিনা

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০২৪
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশের জনগণ ভোট দিয়ে বারবার নির্বাচিত করে জনগনের সেবা করার সুযোগ দেওয়ায় তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ (বৃহস্পতিবার) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৩ প্রদান ও জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৪ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী টুসি।

শেখ হাসিনা বলেন, স্বজন হারিয়ে বেঁচে থাকার কষ্টটা অনেক বেশি, তারপরও সেই শোক, ব্যথা বুকে নিয়েই নিজের ছোট ছোট ছেলে-মেয়েকে মাতৃস্নেহ বঞ্চিত করে চলে এসেছিলাম।

শেখ হাসিনা বলেন, ৬ বছর আসতে পারিনি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করে যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিল, তারা আমাদের আসতে দেবে না। ছয় বছর পর যখন আমার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করে এবং জনগণের সমর্থনে এক প্রকার জোর করেই ফিরে আসি। বিচার চাওয়ার আমাদের কোনো অধিকার ছিল না। বাবা-মা, ভাই হত্যার বিচার আমরা চাইতে পারিনি। আইন করে বন্ধ করা হয়েছিল। খুনিদের বহিষ্কৃত করা হয়েছিল, কিন্তু সাজা যাতে না হয় তার জন্য আইন করা হয়েছে। যাতে কেউ মামলা করতে না পারে।

তিনি বলেন, একাত্তরে যারা গণহত্যা চালিয়েছে, পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সাথে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়ে ছারখার করেছে, সেই যুদ্ধাপরাধী, যাদের বিচার হয়েছিল, আবার অনেকে কারাগারেই ছিল, যারা পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে চলে গিয়েছিল, তাদের ফিরিয়ে এনে এখানে ক্ষমতায় বসানো হয়। এমন একটা সময় ফিরে আসি একদিকে ঘাতকের দল এবং অন্যদিকে যুদ্ধাপরাধী… তারাই ক্ষমতায়। শুধুমাত্র বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের কথা চিন্তা করে, স্বাধীনতার সুফলটা যেন মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছাতে পারি, সেই লক্ষ্য নিয়েই দেশে ফিরে এসেছি। তারপরও অনেক বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে আজকের বাংলাদেশ।

শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর আমাদের দেশটার কী অবস্থা ছিল? জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আমাদের একটি সংবিধান দিয়েছিলেন, সেই সংবিধানে মানুষের যে মৌলিক চাহিদা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা এবং পল্লী বিদ্যুতের ব্যবস্থাও সুনির্দিষ্ট উল্লেখ করা ছিল।

 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এক সময় আমাদের চাঁদেও যেতে হবে। চাঁদ জয় করতে হবে। সেই বিজ্ঞান সম্পন্ন জ্ঞানটা যেন আমাদের শিশুরা এখন থেকে পায় তার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।

মহাকাশ গবেষণা এবং এ বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ সৃষ্টির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। এয়ারস্পেস এবং অ্যাভিয়েশন ইউনিভার্সিটিও করেছি। অ্যারোনটিক্যাল সেন্টারও করে দিয়েছি। গবেষণা এবং সেই সঙ্গে আমাদের শিশুদের এখন থেকে সেইভাবে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী। সঞ্চালনা করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহমেদ।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরিতে আরো খবর


Kurigram Songbad © 2025. All Rights Reserved.
Built with care by Pixel Suggest
error: Content is protected !!