স্পোর্টস ডেস্ক: গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার ভেঙে পড়া নতুন কিছু নয়। যে কারণে এখনো কোনো ট্রফি উঁচিয়ে ধরা হয়নি প্রোটিয়াদের। দলটি এত বেশি ব্যর্থ হওয়ার নজির গড়েছে যে, তাদের নামের পাশে বসে গেছে অপয়া। আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেমির টিকিটের লড়াইয়েও কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, কিন্তু সব বাধা উতরে গিয়ে জয়ের পাশাপাশি সেমিফাইনালের টিকিটও পেয়ে গেল তারা। এর আগে গ্রুপ-২ থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড।
রান তাড়া করতে নেমে ১৫ রানেই ২ উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। রেজা হেনড্রিকসের গোল্ডেন ডাকের পর প্রথম ওভারে ১২ রান তোলা কুইন্টন ডি কক সপ্তম বলের মুখোমুখি হয়েই ক্যাচ তুলে দেন শেরফান রাদারফোর্ডের হাতে। ২টি উইকেটই নেন আন্দ্রে রাসেল। এরপর নামে বৃষ্টি। দীর্ঘক্ষণ বৃষ্টি চলায় ম্যাচ নেমে আসে ১৭ ওভারে, নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৩।
বৃষ্টির পর স্কোরবোর্ডে আরও ২৭ রান তোলার পর এইডেন মারক্রামের উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৮ রান করেন দলপতি। এরপর হেইনরিখ ক্লাসেন এসে ঝড় তুলেন। যদিও ১০ বলে ২২ রান করেই বিদায় নিতে হয় তাকে। এ ২টি উইকেট নেন আলজারি জোসেফ। তখনও জয়ের পাল্লাটা হেলে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে। কিন্তু রোস্টন চেজের ওভারে ডেভিড মিলার ৪ রান করে আউট হলে জমে উঠে ম্যাচ।
৫ উইকেট চলে গেলেও মারকুটে ব্যাটার ত্রিস্টান স্টাবস টিকে থাকায় জয়ের স্বপ্ন বুঁনছিল প্রোটিয়ারা। স্বপ্নে ব্যাঘাত ঘটে স্টাবস ২৯ রান করে আউট হলে। চেজের বলে বোল্ড হন তিনি। তাতে জয়ের পাল্লা ঝুঁকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দিকে, কেননা তখন প্রোটিয়াদের পুরোদস্তুর কোনো ব্যাটার অবশিষ্ট নেই। অবশ্য মার্কো জানসেনের ব্যাটে জয়ের কাছেই চলে যায় তারা, ১৩ রান দূরে থাকতে কেশভ মহারাজ জোসেফকে ক্যাচ তুলে দেন চেজের বলে। ওই ওভারে ৮ রান নিয়ে পথ আরও সহজ করে জানসেন-রাবাদা জুটি। পরের ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে জয় ছিনিয়ে নেয় প্রোটিয়ার।
Leave a Reply