গত দুই দিন ধরে বৃষ্টিপাত বন্ধ। ছিল রৌদ্রজ্বল দিন। এমন পরিস্থিতিতে উজান থেকে নেমে আসা পানির পরিমাণও উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমতে শুরু করেছে। শনিবার (২২ জুন) দিনভর কুড়িগ্রামের সবকটি প্রধান নদ-নদীর পানি কমে স্বস্তির আভাস দিয়েছে। তবে ৪৮ ঘন্টা পর আবারও পানি বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
আজ ২২জুন (শনিবার) দুপুরে পাউবো বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়,ব্রহ্মপুত্রের পানি হ্রাস পাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘন্টা উত্তরাঞ্চলের দুধকুমার, ধরলা ও তিস্তা নদীসমূহের পানি হ্রাস পেতে পারে।
তবে একই সঙ্গে আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টায় উত্তরাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে ২৪ ঘন্টা পানি কমে যাওয়ার পর আবারও পানি বৃদ্ধি পেতে পারে।
পাউবো, কুড়িগ্রামের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, শনিবার দিনভর তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার কমে সন্ধ্যা ৬ টায় বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। একই সময়ে ধরলার পানি কুড়িগ্রাম সেতু পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার, দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ২১ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্ট ১২ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) এর নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ‘বন্যা নিয়ে আশঙ্কা আপাতত কেটে গেছে। তবে পূর্বাভাস অনুযায়ী আবারও পানি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।’ রাজারহাটের বিদ্যানন্দ ইউনিয়নে তিস্তার ভাঙন রোধে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানান এই পানি প্রকৌশলী।
ভাঙন প্রশ্নে এই নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘ তিস্তা, ধরলাা ও ব্রহ্মপত্র অববাহিকায় ১৪ থেকে ১৫ টি স্থানে ভাঙন চলছে। অনুমোদন সাপেক্ষে প্রতিরক্ষামূলক কাজ চলমান রয়েছে।’
Leave a Reply