1. editor1@kurigramsongbad.com : editor1 :
  2. siteaccess@pixelsuggest.com : siteaccess :
সাম্প্রতিক :
ছাত্র আন্দোলনে নীরব থাকা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করলেন সাকিব ফুলবাড়ীতে অবিরাম বর্ষনে সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনে বাংলাদেশের চিঠি সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে জাবিতে মশাল মিছিল কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু তিস্তা নদীর ভাঙ্গনকবলিত এলাকায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ত্রাণ বিতরণ ব্রহ্মপুত্রের প্রবাহে কোদালকাটির শংকর মাধবপুর পূর্ব বিলপাড়ায় বিপর্যয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের কমপক্ষে ৫০ শিক্ষকের ক্লাস বর্জন করেছে শিক্ষার্থীরা অনলাইনেও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ নিবে বাকৃবি তদন্ত কমিশন রসায়নে নোবেল পেলেন ডেভিড বেকার, ডেমিস হ্যাসাবিস এবং জন এম. জাম্পার

রাসেলস ভাইপার থেকে বাঁচতে বন বিভাগের ছয় নির্দেশনা

  • আপডেটের সময় : শনিবার, ২২ জুন, ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক: গত কয়েক মাস ধরে দেশব্যাপী আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বিষাক্ত ও হিংস্র সাপ চন্দ্রবোড়া বা রাসেলস ভাইপার। মূলত বরেন্দ্র অঞ্চলের সাপ বলে পরিচিত হয়ে এলেও ইদানিং দেশের দক্ষিণ, পূর্ব এমনকি মধ্যাঞ্চলেও খোঁজ মিলছে সাপটির। প্রায় দিনই খবর আসছে বিষাক্ত এ সাপে কাটা মানুষের মৃত্যুর। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জনসাধারণকে সচেতন করার লক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছয়টি নির্দেশনা সম্বলিত একটি পোস্ট করা হয়েছে বাংলাদেশ বনবিভাগের পক্ষ থেকে।

শুক্রবার (২১ জুন) রাতে পোস্টটি করা হয় বাংলাদেশ বনবিভাগের একটি ফেসবুক পেইজ থেকে।

তাতে বনবিভাগ বলেছে, গত ১০ বছর আগেও এই চন্দ্রবোড়া বা রাসেলস ভাইপার তেমন চোখে পড়তো না। মূলত ২০১২ সালের পর থেকে এই সাপের সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। রাসেলস ভাইপার দক্ষ সাঁতারু হওয়ায় নদীর স্রোতে ও বন্যার পানিতে সাঁতরে ও ভেসে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিস্তৃত হয়েছে।

রাসেলস ভাইপার স্বভাবগতভাবেই কিছুটা তেজী। এটি মেটে রঙের হওয়ায় মাটির সঙ্গে সহজে মিশে যেতে পারে। মানুষ খেয়াল না করে সাপের খুব কাছে চলে যায়, ফলে সাপটি বিপদ অনুভব করে ভয়ে আক্রমণ করে বসে। এই সাপটির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পেছনে মূলত মানুষই দায়ী। যেসব প্রাণী রাসেলস ভাইপার খেয়ে এদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে, প্রকৃতিতে এদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। কিছু সাপ যেমন, শঙ্খচূড়, খইয়া গোখরা, কালাচ বা কেউটে, শঙ্খিনী রাসেলস ভাইপারসহ অন্যান্য সাপ খেয়ে থাকে। বেজি, গুইসাপ, বাগডাশ, গন্ধগোকুল, বন বিড়াল, মেছো বিড়াল এরাও রাসেলস ভাইপার খেয়ে থাকে।

এছাড়া তিলা নাগ ঈগল, সারস, মদন টাক এই সাপ খেতে পারে। বন্যপ্রাণী দেখলেই তা নিধন করার প্রবণতা, কারণে-অকারণে বন্যপ্রাণী হত্যা, এদের আবাসস্থল ধ্বংস করাসহ বিভিন্ন কারণে দেশের সর্বত্রই এসব শিকারি প্রাণী আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। ফলে রাসেলস ভাইপারও অত্যধিকহারে প্রকৃতিতে বেড়ে গেছে।

তবে রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে বলে জানায় বন বিভাগ। আর এজন্য রাসেলস ভাইপারের আক্রমণ ও ভয়ানক বিষ থেকে বাঁচতে ছয়টি নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি। নির্দেশনাগুলো হলো:

১. যথাসম্ভব সাপ এড়িয়ে চলুন, সাপ দেখলে তা ধরা বা মারার চেষ্টা করবেন না। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ ব্যক্তির সাহায্য নিন বা নিকটতম বন বিভাগ অফিসে খবর দিন।

২. যেসব এলাকায় রাসেলস ভাইপার দেখা গিয়েছে, সেসব এলাকায় চলাচলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন।

৩. রাতে চলাচলের সময় অবশ্যই টর্চ লাইট ব্যবহার করুন।

৪. সাপে কাটলে ওঝার কাছে গিয়ে সময় নষ্ট করবেন না। রোগীকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। দংশিত স্থানের উপরে হালকা করে বেঁধে দিন।

৫. রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যান।

৬. আতঙ্কিত হবেন না, রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টি ভেনম নিকটস্থ হাসপাতালেই পাওয়া যায়।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরিতে আরো খবর
Kurigram Songbad © 2024. All Rights Reserved.
Built with care by Pixel Suggest