কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধিতে ভাঙন আশংকায় নদীর উত্তর তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী পরিবারের মানুষজন।গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া নিম্নাঞ্চলের কিছু পরিবার পানি বন্দি হয়েছে।
আজ ২০ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে পানি বৃদ্ধিতে আকস্মিক বন্যাদূর্গত ও ভাঙন আশংকার খবরে রাজারহাট উপজেলায় গুরুত্বপূর্ণ হুমকির মুখে থাকা কয়েকটি জায়গা পরিদর্শন করেন কুড়িগ্রাম দুই আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা.হামিদুল হক খন্দকার।২০ জুন তিস্তার পানি বেড়ে কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।পানি বৃদ্ধি হওয়ায় তীরবর্তী বসবাসকারী সিদ্দিকুর রহমান,সুবাস চন্দ্র,সুকুমার রায়,বানেশ্বর,নিবারন,যতিশ ও আনোয়ার মিয়া নিরাপদে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন তারা।
এছাড়াও তিস্তা নদীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখাযায়,তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে থাকায় ঝুঁকিতে রয়েছে রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা বুড়িরহাট স্পার বাঁধ,বুড়িরহাট বাজার,কালীরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,নামাভরাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বেশ কিছু জনবসতিপুর্ণ এলাকা।স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি স্পারবাধেঁর অবশিষ্ট সংযোগ রাস্তা ভালোভাবে মেরামত না হলে নতুন করে হুমকির মুখে পড়বে দুটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার পরিবার।ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মামুনুর রশীদ বলেন পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আপাতত ভাঙন খুবই কম,তীরবর্তী সংলগ্ন ঘরবাড়ি নিরাপদ স্থানে সড়িয়ে নিয়েছেন কয়েকজন।তবে পানির প্রবাহের স্তর নিচে নেমে আসলে ডাঙনের সৃষ্টি হয়।
রাজারহাট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আসাদুজ্জামান বলেন আকস্মিক বন্যায় পানি বন্দিদের মাঝে দুই শত শুকনো খাবার ও দুই মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান পানি বৃদ্ধিতে কিছু জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে,সেখানে জরুরি ভিত্তিতে ভাঙনরোধে কাজ করা হচ্ছে।এ পরিস্থিতি দু একদিনের মধ্যে উন্নতি হবার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply