স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে নির্বাচনী এলাকার ১% ভোটারের সমর্থনের শর্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রেও তুলে দেওয়ার প্রস্তাব সরকারের কাছে রাখবে নির্বাচন কমিশন।
-
প্রকাশের সময় :
মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪
-
২৭
বার পড়া হয়েছে
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে নির্বাচনী এলাকার ১% ভোটারের সমর্থনের শর্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রেও তুলে দেওয়ার প্রস্তাব সরকারের কাছে রাখবে নির্বাচন কমিশন।
সোমবার নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে নির্বাচন কমিশনের সংবাদ সংগ্রহে নিয়োজিত সাংবাদিকদের সংগঠন ‘আরএফইডি টক’ এ সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে এ কথা জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে বর্তমান কমিশন ২০২৭ সালে বিদায় নেবে। নতুন ইসির অধীনে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হবে। বিধানটি পাস হলে তখন তা কার্যকর হবে।
ভোটার উপস্থিতির দায় ইসির নয়:
সিইসি বলেন, ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো ইসির কাজ নয়। ইসি তফসিল ঘোষণার পর প্রতীক বরাদ্দ দেবে, এরপর প্রচার করেন প্রার্থীরা। তাদের গ্রহণযোগ্যতা, দক্ষতা, জনগণের সঙ্গে সংযোগের উপর নির্ভর করতে ভোটার উপস্থিতি কেমন হয়। পুরো নির্ভর করবে প্রার্থীদের ওপর।”
তিনি বলেন, “ভোটার উপস্থিতি ১% হতে পারে, ৯৯% হতে পারে। সেটার দায় আমরা নেবে না। প্রার্থীদের প্রচার করতে না দিলে সে কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হলে তার দায় আমাদের ওপর এসে পড়তে পারে। যারা বলে যে ইসির ওপর আস্থা নেই বলে এটা হয়, রাজনীতির উপর পুরোপুরি আস্থা আছে– সেটাও কিন্তু ঠিক না।”
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, নির্বাচনের সাথে রাজনৈতিক যে সম্পর্ক, রাজনৈতিক পরিবেশ অনুকূল হলে নির্বাচনে মানুষের আগ্রহ ‘বাড়তেও পারে’।
রাজনীতিতে ‘সঙ্কট এখনও’
সিইসি বলেন, “রাজনীতিতে কিছু সঙ্কট এখনও রয়ে গেছে। সার্বিক পরিবেশ এখনও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বা পুরোপুরি অনুকূল হয়ে ওঠেনি। এ কারণে উপস্থিতি কম হতে পারে। রাজনৈতিক বৈরিতা ও বিভাজন এখনও রয়েছে।”
রাজনৈতিক সংস্কৃতির এখনও ‘অনেক উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে’ বলে মনে করেন তিনি।
“দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমরা একটা বড় ধরনের রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলাম। নির্বাচন হবে কি হবে না; ইসি কিছুদিনের মধ্যে বাতিল হয়ে যাবে, নির্বাচন তো হবেই না, ইত্যাদি ইত্যাদি। এগুলো নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব, সংশয় ছিল, এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজমান ছিল। নির্বাচন প্রশ্নে রাজনৈতিক সঙ্কট এখনও বিরাজমান রয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক সঙ্কট, বিতর্ক নির্বাচনকেও প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।”
তার ভাষায়, রাজনীতিতে বির্তক, বৈরিতা থাকতে পারে। কিন্তু মৌলিক প্রশ্নে সমঝোতার মাধ্যমে মতৈক্য প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে সংলাপের প্রয়োজন। জাতীয় নির্বাচনের পর ৫ মাস পার হলেও বিরোধের জমাট বরফ এখনও গলতে শুরু করেনি।… তবুও আশাবাদী, সঙ্কটের নিরসন হবে।”
পোস্টটি শেয়ার করুন
এই ক্যাটেগরিতে আরো খবর
Leave a Reply