1. editor1@kurigramsongbad.com : কুড়িগ্রাম সংবাদ :
  2. sifat@kurigramsongbad.com : sifat :
  3. siteaccess@pixelsuggest.com : কুড়িগ্রাম সংবাদ :
সাম্প্রতিক :
চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদে ইলেকট্রিক মেশিন দিয়ে মাছ ধরার সময় ৬ জেলে আটক যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে পালানো ইউক্রেনীয় সেনাদের সংখ্যা বাড়ছেই: ফিন্যান্সিয়াল টাইমস ছুটি কাটাতে ইরাকে যাচ্ছেন পশ্চিমা পর্যটকরা শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি যত ধরনের দুর্নীতির সন্ধান পেয়েছে কুড়িগ্রাম জেলা আহ্বায়ক কমিটি: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি ঘোষণার পরপরই যুগ্ম আহ্বায়ক সহ একাধিক সদস্যের পদত্যাগের ঘোষণা কুড়িগ্রামে চরমোনাই পীরের ইজতেমা ১৯ ডিসেম্বর নভেম্বরে রেমিট্যান্স ১৪ শতাংশ বেড়ে ২.২০ বিলিয়ন ডলার সিভিল সার্ভিসে ‘ক্যাডার’ শব্দটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করবে কমিশন দেশের ১০ ব্যাংক টেকনিক্যালি দেউলিয়া: শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি সোনাহাট স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির আহ্বায়ক কমিটি গঠন

জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০দিনের আমল সূমহ

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৭ জুন, ২০২৪
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

জিলহজ্জ প্রথম দশকের আমল সমূহ

জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিন গুরুত্বপূর্ণ সময়। পবিত্র কুরআনে জিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ রজনি নিয়ে কসম খেয়েছেন আল্লাহ তা’আলা। এরশাদ হয়েছে ‘‘শপথ প্রত্যুষের ও দশ রজনির।’’ এ মাসের প্রথম দশকে রয়েছে আরাফা ও কুরবানির দিন। আর এ দুটো দিনেরই রয়েছে অনেক মর্যাদা। হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সা.)বলেন: ‘‘আরাফা দিবস থেকে অধিক অন্য কোনো দিন আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন না।

আসুন জেনে নেই জিলহজ্জ মাসের গুরুত্বপূর্ণ দশটি আমল

এক. চুল ও নখ না কাটা : জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার পর থেকে কোরবানি দেওয়া পর্যন্ত হাত ও পায়ের নখ, মাথার চুল কাটা বা মুণ্ডানো, মোচ ছোট করা বা কাটা, নাভি ও বগলের নিচের অযাচিত পশম না কাটা উত্তম। জিলহজ মাস শুরুর আগেই এসব বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। উম্মে সালামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমরা জিলহজ মাসের নতুন চাঁদ দেখলে এবং তোমাদের কেউ কোরবানির ইচ্ছা করলে সে যেন নিজের চুল ও নখের কোনো কিছু না কাটে। (মুসলিম, হাদিস : ১৯৭৭)

দুই. রোজা রাখা : জিলহজ মাসের প্রথম ৯ দিন রোজা রাখা সুন্নত। এসব দিনে রোজার বিশেষ ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। হাফসা (রা.) বর্ণনা করেছেন, চারটি আমল নবী করিম (সা.) কখনো ছাড়তেন না।তার মধ্যে অন্যতম হলো, জিলহজের প্রথম দশকের রোজা, (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ২৪১৫)

তিন. আরাফার দিনের রোজা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আরাফার দিন (৯ জিলহজ) রোজার বিষয়ে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে তিনি এর মাধ্যমে বিগত এক বছর ও আগামী বছরের গুনাহ মাফ করবেন। (মুসলিম, হাদিস : ১১৬২)

চার. জিকির করা : জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন বেশি পরিমাণ জিকিরের কথা হাদিসে এসেছে। বিশেষত তাকবির (আল্লাহু আকবার), তাহমিদ (আলহামদুলিল্লাহ), তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) ও তাসবিহ (সুবহানাল্লাহ) পড়া সুন্নত।

পাঁচ. তাকবির পাঠ করা : জিলহজ মাসের প্রথম দিন থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত তাকবির পাঠ করা একটি সাধারণ আমল। তবে জিলহজ মাসের ৯ তারিখ ফজরের নামাজ থেকে ১৩ তারিখ আসরের নামাজ পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ শেষে তাকবির বলবে। এটাকে তাকবিরে তাশরিক বলা হয়। এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহকে স্মরণ কোরো।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২০৩)

তাকবির হলো, ‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’ অর্থ : আল্লাহ বড় আল্লাহ বড়, আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। আল্লাহ বড় আল্লাহ বড়। সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য। (দারু কুতনি, হাদিস : ১৭৫৬)

ছয়. হজ ও ওমরাহ করা : পবিত্র হজ ও ওমরাহ জিলহজ মাসের অন্যতম আমল। নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে জীবনে একবার হজ করা ফরজ। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে আল্লাহর জন্য হজ করে এবং তাতে অশালীনতা ও গুনাহ থেকে বিরত থাকে, সে হজ থেকে নবজাতক শিশুর মতো (নিষ্পাপ হয়ে) ফিরে আসে। (বুখারি, হাদিস : ১৫২১)

 

সাত. কোরবানি করা:জিলহজ মাসের দশম দিন থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত কোরবানি করা যাবে। এই সময় হাজিরা মিনা ও আশপাশের প্রাঙ্গণে কোরবানি করেন।যতটুকু সম্পদ থাকলে জাকাত ওয়াজিব হয় ততটুকু সম্পদের জন্য কুরবানি ওয়াজিব হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি তোমার রবের জন্য নামাজ পড়ো এবং কোরবানি করো।’ (সুরা : কাউসার, আয়াত : ২)।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোরবানি করল না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের কাছেও না আসে। (বুখারি, হাদিস : ৬৪৯০)

আট.ভালো কাজ করা: এই দশকে বেশি বেশি ভালো কাজ করার নির্দেশনা এসেছে। ওপরে উল্লিখিত হাদিস থেকে তা–ই প্রতীয়মান হয়। কাজেই আমাদের উচিত, এ সময় অধিক পরিমাণে নেক আমল করা। কোরআন তিলাওয়াত, নফল নামাজ, দান-সদকা ইত্যাদি আমলে আত্মনিয়োগ করা।

নয়.দান-সদকা করা:দান-সদকা এমনিতেই গুরুত্বপূর্ণ নেক আমল। কিন্তু বিশেষ দিনে এর গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। তাই জিলহজ মাসে দান-সদকা করা বিশেষ সওয়াবের কাজ ও ফজিলতপূর্ণ আমল। অন্যের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মর্যাদা সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘যারা নিজের সম্পদ দিনে বা রাতে প্রকাশ্যে অথবা গোপনে আল্লাহর পথে খরচ করে তাদের পুরস্কার তাদের প্রতিপালকের কাছে আছে। তাদের কোনো ভয় নেই। তাদের কোনো চিন্তাও নেই।’ (সুরা বাকারা: ২৭৪) আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) বলেছেন, মহান আল্লাহ বলেন, ‘তুমি ব্যয় করো, হে আদম সন্তান! আমিও তোমার জন্য ব্যয় করব।’ (বুখারি: ৫৩৫২)

দশ.তাওবা করা: বান্দা যখন নিজের অপরাধ বুঝতে পেরে সত্যিকার তওবা করে তখন আল্লাহ শুধু তার গুনাহই ক্ষমা করেন না; বরং গুনাহকে নেকি দ্বারা পরিবর্তন করে দেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কিন্তু যারা তওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গুনাহগুলোকে নেকি দিয়ে পরিবর্তন করে দেবেন।’ (সুরা ফুরকান: ৭০)
জিলহজ অতি মর্যাদাপূর্ণ মাস হওয়ায় মাসের শুরুতেই আন্তরিক তাওবা করে নিজেকে পবিত্র করে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন আলেমরা।

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে ওই দিনগুলোতে বেশি বেশি আমল করার তাওফিক দান করুন।

  • মোঃ ইউসুফ রাকিব
    ডিপার্টমেন্ট: আরবী ভাষা ও সাহিত্য
    ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
    সদস্য বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা
    মোবাইল নং:০১৯৮৭১৩২৫৫৯

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরিতে আরো খবর
Kurigram Songbad © 2024. All Rights Reserved.
Built with care by Pixel Suggest
error: Content is protected !!