প্রায় এক যুগেও রাস্তা সংস্কারের কাজ হয়নি। চরনেওয়াজী দ্বি মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্ব ও পশ্চিম পাশের ৪-৫ কিমি রাস্তা মানুষ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তার কিছু অংশ জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার অন্তরভুক্ত এবং বাকী অংশ কুড়িগ্রাম জেলার চর রাজিবপুর উপজেলার অন্তর্ভুক্ত। রাস্তা টা দুই জেলার অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ধরা ছোঁয়ার বাহিরে চলে গেছেন। কোনো প্রতিনিধি তার নিজ দায়িত্বে কাজ করছেন না। যেমনটা না করছেন দেওয়ানগন্জ উপজেলা চেয়ারম্যান, না করছেন চর রাজিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান।
এই অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে রাস্তায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। যেই রাস্তায় দিয়ে কুড়িগ্রাম জেলার সুনাম ধন্য প্রতিষ্ঠানের এক থেকে- দেড় হাজার শিক্ষার্থী চলাচল করেন এবং দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা ডাংধরা ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ ও চর রাজিবপুর উপজেলায় মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের প্রায়ই প্রায়ই দশ- পনেরো হাজার মানুষের চলাচল। মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের মানুষের উপজেলা শহরে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা যেটা দিয়ে ভ্যান চলাচল করতে চায় না।
একটা ইমারজেন্সী রোগী কে হাসপাতালে নেওয়ার মতো গাড়ি পাওয়া যায় না। কারণ রাস্তার ব্যহাল অবস্থার কারণে গাড়ি চালকরা বলেন এই রাস্তায় গেলে আমার গাড়ির অবস্থা থাকে না। এছাড়া স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় যে রাস্তাটা দুই জেলার অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় কেউই গায়ে লাগায় না, কাজও করে না
স্থানীয় লোকজন বলেন এই রাস্তায় প্রায় ২০ হাজার লোকের একমাত্র চলাচলের মাধ্যম। কিন্তুু রাস্তা ভালো না হওয়ায় গাড়ি চলাচল না করায় পায়ে হেঁটে উপজেলা শহরে কাজের জন্য যেতে হয়। আরো অনেকেই বলেন কিছু জায়গায় ২০১৪ বা ২০১৫ সালের দিকে ইট ফালানো হয়েছিল কিন্তুু এখন আর ইটের চিহ্নও নাই এখন। ইট গুলো বৃষ্টির পানিতে রাস্তা ভেঙ্গে ইট পড়ে গেছেন। সেগুলো কে বা কারা নিয়ে গেছে বলতে পারেন না কেউই। স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়।
এই বিষয়ে কুড়িগ্রাম ৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট বিপ্লব হাসান পলাশ এমপি মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন যে এই বিষয়ে আমি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
Leave a Reply