কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকলেও বিল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। সংযোগবিহীন দোকানে এক ব্যবসায়ীর হাতে ২৫০ টাকার পরিবর্তে সাড়ে ৩ হাজার টাকার বিল ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের টাপুরচর বাজারে। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সরেজমিনে গিয়ে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি টাপুরচর বটতলা মোড়ে একটি ভাড়া দোকানে মনোহারি পণ্যের ব্যবসা করেন। তার দোকানের বিদ্যুৎ সংযোগ জুন মাসে বিল বকেয়া থাকায় বিচ্ছিন্ন করা হয়। পরে জুলাই-আগস্ট মাসের দুই মাসের বকেয়া ৫০০ টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু সংযোগ না থাকা সত্ত্বেও সেপ্টেম্বর মাসে তার নামে ৩,৫০০ টাকার বিদ্যুৎ বিল আসে।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমার দোকানে কোনো সংযোগ নেই। রাতের বেলা মোমবাতি জ্বালিয়ে দোকান চালাই। তবুও ৬০ ইউনিট ব্যবহারের বিল দেখিয়ে ৩,৫০০ টাকা চাওয়া হয়েছে—আমরা কেমন দেশে বাস করছি?”
স্থানীয় দোকান মালিক মো. জাকির হোসেনও অনুরূপ অভিযোগ করে বলেন, “মিটার পরিবর্তন ও নতুন সংযোগের জন্য আবেদন করার পরও বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা হয়রানি করছেন। তারা বলে দেন, পুরনো বিল না দিলে নতুন সংযোগ দেওয়া হবে না।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “এলাকায় ঘন ঘন লোডশেডিং, সচল মিটারকে অচল দেখানো, ব্যবহৃত ইউনিটের সঙ্গে বিলের অমিল, আর লো ভোল্টেজের পরিবর্তে হাই ভোল্টেজের বিল—এসব এখন নিয়মিত ঘটনা।”
স্থানীয় বিল বিতরণকারী কর্মী জানান, “সাইফুল ইসলামের দোকানে সত্যিই কোনো সংযোগ নেই। আমি শুধু অফিস থেকে পাঠানো বিল তার হাতে পৌঁছে দিয়েছি।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মিটার রিডার বলেন, “মাঠপর্যায়ের গাফিলতির কারণেই এমন ভুল বিল তৈরি হতে পারে। সম্ভবত ওই দোকানে সংযোগ ও মিটার রিডিং সঠিকভাবে রেকর্ড হয়নি।”
জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি রৌমারী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন মোবাইলে বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এমন হয়ে থাকলে দোকান মালিক আমার কাছে এলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Leave a Reply