কুড়িগ্রাম সংবাদ ডেস্ক:
কুড়িগ্রামের পুরাতন রেলওয়ে স্টেশনের প্রায় ২০ একর জায়গার সঠিক হিসাব এখনো জনসম্মুখে প্রকাশ না হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
২০০৩ সালে নতুন রেলওয়ে স্টেশন চালু হওয়ার পর পুরাতন স্টেশন থেকে নতুন স্টেশন পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর পুরাতন স্টেশন কার্যত পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। দীর্ঘ ২২ বছর ধরে এই স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ও ইয়ার্ড মিলিয়ে প্রায় ২০ একর জায়গা কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, তার সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই।
সূত্র জানায়, পুরাতন স্টেশনের প্রায় সাড়ে ১৭ একর জায়গা প্রায় ৩০ জনকে লিজ দেওয়া হয়েছে। তবে কারা এই লিজ নিয়েছেন এবং কী শর্তে জমি ব্যবহার করছেন—তা এখনো সাধারণ মানুষের কাছে অজানা থেকে গেছে।
সচেতন মহল অভিযোগ করছেন, কর্তৃপক্ষের অবহেলায় জমির প্রকৃত হিসাব এখনো সামনে আনা হয়নি। বিষয়টি নতুন নয়। এর আগেও কুড়িগ্রামের বিশিষ্ট সাংবাদিক ও শিক্ষাবিদ শফিকুল ইসলাম বেবু দৈনিক ইনকিলাবে ২০১৬ সালের ১৭ এপ্রিল “কর্তৃপক্ষের অবহেলায় কুড়িগ্রাম পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন যাচ্ছে ভূমিদস্যুদের কব্জায়” শিরোনামে একটি কলামে এ বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন।
সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ঘোষণা দিয়েছেন, দুই মাসের মধ্যে দেশের সব খাস জমির হিসাব নেওয়া হবে। এতে কুড়িগ্রামের মানুষ আশাবাদী হয়েছেন যে পুরাতন রেলওয়ে স্টেশনের প্রায় ২০ একর জমির সঠিক হিসাবও শিগগিরই প্রকাশিত হবে।
স্থানীয় সাংবাদিক আশির্বাদ রহমান বলেন, “এই জায়গাটির সঠিক হিসাব বের করে এলাকার জন্য একটি কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রকল্প চালু করা গেলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে, আর বেকার মানুষও কাজ পাবে।”
স্থানীয়দের দাবি, পুরাতন রেলওয়ে স্টেশনের জমির সঠিক হিসাব দ্রুত প্রকাশ করে জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যবহার করা হোক। তাদের বিশ্বাস, সঠিক উদ্যোগ নিলে এই জমি জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
Leave a Reply