কুড়িগ্রাম সংবাদ ডেস্ক:
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়নের সুখেরবাতি গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে ও নির্যাতনের জেরে সনেকা বেগম (৩৮) নামের এক গৃহবধূর আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২০ বছর আগে সুখেরবাতি গ্রামের সন্তাজ মোল্লার ছেলে কালাচান মোল্লার সঙ্গে চরশৌলমারী বাজারপাড়া গ্রামের মোক্তব আলীর মেয়ে সনেকা বেগমের বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তাদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে, ছেলে এখন তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে।
ঘটনার দিন সনেকা বেগম আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াত খেয়ে বিকেলে বাড়ি ফিরে দেখেন তার স্বামী গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। এ নিয়ে স্বামী কালাচান, বড়ভাই সবুর আলী ও শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সনেকার ওপর নেমে আসে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন।
অসহ্য নির্যাতনের পর ক্ষোভে তিনি বিষপান করেন। পরিবারের লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাকে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করার পরও স্বামী তাকে সেখানে না নিয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই রেখে দেন। সন্ধ্যায় সনেকা বেগমের মৃত্যু হয়।
স্ত্রীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে স্বামী কালাচান, তার দ্বিতীয় স্ত্রী, বড় ভাই সবুর আলীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা পলাতক হন।
নিহতের বাবা মোক্তব আলী অভিযোগ করে বলেন—
“দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়েকে গালিগালাজ ও মারধর করতো। সে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে বলে শুনেছি। তবে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। আমি তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায়বিচার চাই।”
এ বিষয়ে রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম মালিক বলেন—
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম মালিক বলেন, মৃত্যুর ঘটনাটি সন্দেহজনক হওয়ায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে এবং গুরত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।
Leave a Reply