1. atik@kurigramsongbad.com : atik :
  2. editor1@kurigramsongbad.com : কুড়িগ্রাম সংবাদ :
  3. sifat@kurigramsongbad.com : sifat :
  4. siteaccess@pixelsuggest.com : কুড়িগ্রাম সংবাদ :
সাম্প্রতিক :
উলিপুরে এনসিপি থেকে মনোনয়ন ফর্ম নিলেন মাহমুদুল হাসান জুয়েল রৌমারীতে খেলার মাঠ দখল করে ভবন নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন কুড়িগ্রাম-১ আসনে ডা. ইউনুছ আলীর মনোনয়ন দাবিতে নাগেশ্বরীতে বিক্ষোভ মিছিল বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে রাজারহাটে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কুড়িগ্রামে ‘নো প্রমোশন নো ওয়ার্ক’ স্লোগানে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার প্রভাষকদের অবস্থান কর্মসূচি ভূরুঙ্গামারীতে গম প্রদর্শনীর উপকরন বিতরণ ঐক্যের বার্তা নিয়ে ভেসপাবস-এর ফ্যামিলি নাইট ও ডিনার অভ্যর্থনা বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের আয়োজন ১৪তম কমিউনিকেশন সামিট অনুষ্ঠিত ভূরুঙ্গামারীতে এলজিইডি’র গ্রামীন অবকাঠামোগত প্রকল্পে  উন্নয়নের ছোঁয়া কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুড়িগ্রামে ইসলামী সমমনা ৮ দলের বিক্ষোভ মিছিল

রৌমারীর ৭৬ মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষক এখনও তালিকাভুক্ত নন

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১৬০ বার পড়া হয়েছে

কুড়িগ্রাম সংবাদ ডেস্ক:

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী হিসেবে কর্মরত ১৬ শিক্ষক ‘বিশেষ ব্যবস্থায়’ গেজেটভুক্ত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা সনদ পেলেও, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্তে ৭৬ জন তালিকাভুক্ত হতে পারেননি।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জামুকার এক সহকারী পরিচালককে উৎকোচ না দেওয়ায় তারা বঞ্চিত। অথচ তালিকাভুক্ত সবাই মুজিবনগর সরকারের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। প্রত্যেকের সার্ভিস বইয়ে মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী উল্লেখ আছে।

মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন ও জামুকার নথিপত্র অনুযায়ী, মুজিবনগর সরকারের নির্দেশে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রৌমারী উপজেলার পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ ৩৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৪৯ শিক্ষক নিজ নিজ পদে যোগদান ও স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে স্কুল চালু করেন। একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশ নেন। এর মধ্যে শুধু রৌমারী থানায় মুজিবনগর সরকারের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন ১০৩ জন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১৯৯০ সালের ৩১ মে জারি করা অফিস আদেশ অনুযায়ী, মুজিবনগর সরকারে মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষক হিসেবে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণে তারা দুটি করে ভূতাপেক্ষ ইনক্রিমেন্ট পান।

পরে ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা ও বয়স নির্ধারণ করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। এতে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় বলা হয়, যারা মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে গঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারীর দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা মুক্তিযোদ্ধা গণ্য হবেন।

এর পর রৌমারী থানার ১০৩ মুজিবনগর শিক্ষকের মধ্যে ২০১৭ সালে ৯২ জন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্তির আবেদন করেন। ২০২৩ সালের ১৭ জানুয়ারি জামুকার ৮৩তম সভায় ৭৬ জনকে রংপুর বিভাগের উপকমিটিতে পাঠানো হয়। কিন্তু সেই তালিকা থেকে মাত্র সাত শিক্ষককে ২০২৩ সালের ২৪ মে মুক্তিযোদ্ধা গেজেটভুক্ত করা হয়।

রংপুর বিভাগের উপকমিটির কার্যক্রমে যুক্ত এবং জামুকার তৎকালীন সহকারী পরিচালক (অ্যাস্টেট ও কল্যাণ শাখা-২) সুলতান আহমেদ সমকালকে বলেন, বিভাগীয় উপকমিটি থেকে সবাইকে সুপারিশ করা হয়েছিল। পরে কেন হয়নি তা জামুকার তৎকালীন সহকারী পরিচালক (রেজিস্ট্রেশন ও সার্টিফিকেট) আব্দুল খালেক বলতে পারবেন।

আব্দুল খালেকের দাবি, মুজিবনগর সরকারের শিক্ষকদের তালিকাভুক্তির এখতিয়ার পুরোপুরি উপকমিটির। কমিটির সভাপতি ছিলেন সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান। আমি সহকারী পরিচালক হয়ে কিছু করতে পারি না।

বঞ্চিত শিক্ষকরা সংক্ষুব্ধ হয়ে জামুকায় আপিল করেন। তাদের মধ্যে ৯ শিক্ষককে ২০২৩ সালের ৯ জুলাই প্রকাশিত গেজেটভুক্ত করা হয়। বঞ্চিত শিক্ষকরা জামুকার বিশেষ উপকমিটির মাধ্যমে গেজেটে নাম অন্তর্ভুক্তির আবেদন করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের গেজেটভুক্ত করা হয়নি।

প্রশ্ন উঠেছে, আপিল শুনানি শুরু ও শেষের আগেই জামুকায় ৯ শিক্ষকের তালিকাভুক্তির সুপারিশ নিয়ে। জামুকা থেকে সংশ্লিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পাঠানো ২০২৩ সালের ২৭ মার্চ সই করা চিঠি অনুযায়ী, রৌমারীর ৯ শিক্ষককে ওই বছর ৬ এপ্রিলের মধ্যে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জামুকায় জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু তার আগেই ২০২৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি জামুকার ৮৪তম সভায় তাদের গেজেটভুক্তি অনুমোদন হয়। ভুক্তভোগীদের প্রশ্ন, ৯ শিক্ষককে নথিপত্র জমার চিঠি দেওয়ার আগেই গেজেটভুক্তি অনুমোদন হলো কীভাবে?

এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় ও জামুকায় চলছে দায় এড়ানোর প্রতিযোগিতা। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক শাহিনা খাতুন সমকালকে বলেন, ২০২৩ সালে শুনানি নিয়ে যাচাই-বাছাই হয়েছে। এরপর যাদের ইতিবাচক মনে হয়েছে, তাদের গেজেটভুক্ত করা হয়েছে। যাদের নেতিবাচক মনে করেছে, তাদের বাদ দিয়েছে।

মহাপরিচালক ‘ইতিবাচক-নেতিবাচক’ তত্ত্ব দিলেও নথিপত্রে দেখা যাচ্ছে, মুজিবনগর সরকারের ১০৩ শিক্ষক একই সময়ে মুজিবনগর সরকারে সহকর্মী ছিলেন। স্বাধীনতার পর তারা একই সঙ্গে অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট পেয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী জানান, জামুকার তৎকালীন সহকারী পরিচালক আব্দুল খালেক আপিলকারী প্রত্যেকের কাছ থেকে গেজেটভুক্তির জন্য আট লাখ টাকা দাবি করেন। যারা উৎকোচ দিতে অস্বীকার করেন, তাদের গেজেটভুক্ত করা হয়নি।

আব্দুল খালেক বলেন, যারা শিক্ষক ছিলেন, তাদের গেজেটভুক্ত করা হয়নি। অন্য পেশার কয়েকজনকে গেজেটভুক্ত করা হয়েছে। তবে নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৭ সালের জুনে ও ২০২৩ সালের জুনে যে ১৬ জনকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, তারা মুজিবনগর সরকারের শিক্ষক। বঞ্চিত ৮৭ জনের সঙ্গে তাদের মুজিবনগর সরকারে কর্মকাল ও কর্মএলাকা অভিন্ন।

রৌমারী উপজেলার মুজিবনগর সরকারের শিক্ষক ও ২০২৩ সালের জুনে গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন বলেন, রৌমারীতে আমরা ১০৩ শিক্ষক ছিলাম। অনেক দিন ঘুরে মাত্র ১৬ জন সনদ পেয়েছি। বাকিরা এখনও পাননি। তাদেরও গেজেটভুক্ত করে সনদ দেওয়া দরকার। কারণ, আমরা সবাই একসঙ্গে চাকরি করেছি।

জামুকার উপকমিটির আহ্বায়ক ক্যাপ্টেন (অব.) এম নুরুল হুদা সমকালকে বলেন, দেশ স্বাধীনের পর কয়েক গুণ বেশি মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়েছে। আবার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় যুক্ত হতে পারেননি। যারা আবেদন করেছেন, আমরা তাদের বিষয় পর্যায়ক্রমে পর্যালোচনা করছি। বর্তমান সরকারের আমলে সব আবেদন নিষ্পত্তি করতে চাই। আমাদের মূল উদ্দেশ্য প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা যেন বাদ না যান।

একই তালিকার যেসব শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা

একই তালিকার প্রথম পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত হওয়া সাত শিক্ষক হলেন– আবু জাফর, মোয়াজ্জম হোসেন, গোলজার হোসেন, আব্দুল করিম, আব্দুল আজিজ, মাহফুজার রহমান ও শামসুল হক।

দ্বিতীয় পর্যায়ে গেজেটভুক্ত ৯ শিক্ষক হলেন– ইউনূছ আলী ভূঁইয়া, আবুল খায়ের মাহমুদ, জামাল উদ্দিন, এস এস ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, আবু হানিফ, আব্দুল মজিদ, আজিজুর রহমান, আমজাদ হোসেন ও সৈয়দ আলী।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী সমকালকে বলেন, মুজিবনগর সরকারের যেসব কর্মচারী এখনও মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেননি, তাদের নতুন করে আবেদন করতে হবে। এরপর আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখব। সঠিক তথ্য থাকলে এবং প্রকৃত মুজিবনগর সরকারের শিক্ষক হলে, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অবশ্যই তারা সনদ পাবেন।

তথ্যসূত্র: সমকাল

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটেগরিতে আরো খবর


Kurigram Songbad © 2025. All Rights Reserved.
Built with care by Pixel Suggest
error: Content is protected !!