কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রানা চৌধুরী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এ দলে যোগ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা কফিল উদ্দিন।
জানা গেছে, রানা চৌধুরী উপজেলার যুবদলের সাথেও দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন। আওয়ামী বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়ার কারণে তিনি কারাবরণও করেছিলেন। এলাকায় তাকে ত্যাগী নেতা হিসেবেই পরিচিত বলে স্থানীয়রা জানান।
জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাজারহাট উপজেলা শহরে জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও কুড়িগ্রাম-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী ইয়াছিন আলী সরকারের উপস্থিতিতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন। এ সময় উপজেলা আমির মাওলানা কফিল উদ্দিনসহ স্থানীয় জামায়াত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
যোগদানের বিষয়ে রানা চৌধুরী বলেন, “আমি অনেক চিন্তাভাবনা করে স্বেচ্ছায় জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়েছি। বিএনপির সকল পর্যায় থেকে লিখিতভাবে ইস্তফা দিয়েছি। কারও প্রতি কোনও বিদ্বেষ বা মনোমালিন্য থেকে নয়, বরং জেনে বুঝে ভালো লাগা থেকে জামায়াতে যোগ দিয়েছি। এখন থেকে জামায়াতের সঙ্গেই থাকতে চাই।”
এ বিষয়ে উপজেলা আমির মাওলানা কফিল উদ্দিন বলেন, “রানা চৌধুরী কয়েকদিন আগে থেকে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। আমরা তাকে আগে বিএনপি থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরামর্শ দিই। তিনি ইস্তফা দিয়ে মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতে যোগ দেন। তবে জামায়াতে যোগ দিলেই নেতা হওয়া যায় না। নিয়মিত নামাজ আদায়, সিলেবাসভুক্ত বই পাঠ, ব্যক্তিগত রিপোর্টসহ সাংগঠনিক যোগ্যতা অর্জন করতে হয়। যোগ্যতা প্রমাণের পরেই নেতৃত্ব পাওয়া সম্ভব।”
অন্যদিকে, রাজারহাট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনিছুর রহমান বলেন, “রানা চৌধুরী দুই দিন আগে দল থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তবে তার জামায়াতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।”
Leave a Reply