রৌমারী প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রৌমারী খাদ্যগুদাম থেকে চালকল মালিকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গঠিত চার সদস্যের তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। এ ঘটনায় খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুন্সী মোহাম্মদ শহিদুল্লাহর বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটি
অভিযোগ তদন্তে অংশ নেন জেলা টিআই জবেদ আলী, চিলমারী টিসিএফ এনামুল হক, জেলা সদর খাদ্যগুদাম টিসিএফ হালিমুর রহমান পলাশ, নাগেশ্বরী উপজেলা টিসিএফ কায়সার আহমেদ এবং জেলা সদর ওসিএলএসডি। তারা রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে খাদ্যগুদামে গিয়ে চালকল মালিকদের বরাদ্দের চাল বিতরণ সংক্রান্ত নথিপত্র ও আর্থিক লেনদেন যাচাই করেন।
অভিযোগের বিবরণ
তদন্তে জানা যায়, চালকল মালিক নাসির উদ্দিন লালের বরাদ্দকৃত ১০.০২০ মেট্রিক টন চালের সরকারি মূল্য ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা তার ব্যাংক একাউন্টে না দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে শামিম এন্টারপ্রাইজ নামের অপর এক মিল মালিকের একাউন্টে জমা দেন শহিদুল্লাহ। পরবর্তীতে সেই একাউন্ট থেকে চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়।
এছাড়া গুদামে আনার কথা থাকলেও নতুন ১,২২৯টি খালি বস্তা না এনে প্রায় ৫০ হাজার টাকায় পরিবহন ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করা হয়। পরে নিম্নমানের বস্তা কিনে মিলারদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
অন্যদিকে গত আমন মৌসুমে চাল সংগ্রহের সময়ও নাসির উদ্দিন লাল মিয়ার নামে বরাদ্দকৃত ২ মেট্রিক টন ৭০০ কেজি চাল এবং প্রায় ৩ হাজার খালি নতুন বস্তা রহস্যজনকভাবে আত্মসাৎ করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩ লাখ ১১ হাজার ৩০০ টাকা।
তদন্তে উঠে এসেছে, সব মিলিয়ে প্রায় ৮ লাখ টাকার চাল ও বস্তা আত্মসাৎ করেছেন খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত চালকল মালিকরা অর্থ ফেরত না পেয়ে কুড়িগ্রাম জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন।
Leave a Reply